পাতা:সর্ব্বসম্বাদিনী - জীব গোস্বামী.pdf/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- অনুব্যাখ্যা లిలి " হরিচন্দনবিন্দু যেমন শরীরের কোন স্থলে স্পষ্ট হইলে সমগ্র শরীরের আহলাদ জন্মায়, n সেইরূপ এই জীব অণুমাত্র হইলেও সমগ্র শরীর ব্যাপিয়া-অবস্থান করেন। এ স্থলে প্রভাবের আতিশযুক্ত বুঝাইবার জন্যই হরিচন্দম শব্দ প্রযুক্ত হইয়াছে। • যদি বল, “চেতনাগুণ-ব্যাপ্তি-সিঁদ্ধাস্তুে যে স্থলে গুণী আছে? সেই স্থল পৰ্য্যন্তই গুণেরঙ্গ । গুণীর আশ্রয় না পাইলে গুণত্বহীন হয়” (শাঙ্কর ভাষ্য, ২৩, ২৯ )। এ কথাও বলিতে ; بچ34if . পাঁর না। ইতঃপূৰ্বেই প্রদর্শিত হইয়াছে, রক্তরঞ্জিত বস্ত্ৰাদির ब्राकृ१ं उब्रिकछें छ्ड्ॉक्ष७ লোহিত বর্ণে রঞ্জিত দৃষ্ট হয়। তন্দ্বারা ইন্ধুই প্রতিপন্ন হয় যে, গুণীকে আশ্রয় করিয়া গুণ অবস্থান করিলেও তদাতিরিক্ত স্থলেণ্ডু তাহার ব্যবস্থিতি দেখা যায়। গন্ধও স্বকীয় আশ্রয়কে পরিত্যাগ না করিয়াই দুরে বিসৰ্পিত হইয়া থাকে। ইহা প্রভাবেরই কাৰ্য্য। শ্ৰীকৃষ্ণদ্বৈপায়ন মহাভারতে এ সম্বন্ধে একটি পদ্য বিন্যাস করিয়াছেন। উহার মৰ্ম্ম এইরূপ,- অনভিজ্ঞ ব্যক্তিরা জলে গন্ধ উপলব্ধি করিয়া মনে করে, উহা বুঝি জলেরই গুণ। কিন্তু বাস্তবিক তাহা নহে, গন্ধ জলের গুণ নহে-পৃথিবীর । পৃথিবীর গন্ধই জল ও বায়ুকে আশ্রয় , করে। ( শাঙ্কর ভাং ধৃত, ২৩|২৯ )। সুতরাং সিদ্ধান্ত এই যে, জীব অণুই বটে,-ইনি চেতনাগুণদ্বারা স্বীয় শরীর ব্যাপিয়া অবস্থান করেন । এ স্থলে একটি আশঙ্কা হইতে পারে। বৃহদারণ্যকে একটি শ্রুতুি আছে, উহা এই,-“স বা এয মহানজ আত্মা যোহয়ং বিজ্ঞানময়ঃ প্ৰাণেষু” ইত্যাদি (৪।৪।২২) । এ. স্থলে মহৎ শব্দ প্ৰযুক্ত হওয়ায় জীবাত্মার অণুত্ব সন্তাবিত হয় না। এতদুত্তরে বক্তব্য এই যে, জীবাত্মাকে বহু স্থলে যুক্তিবলে অণু বলিয়া সাব্যস্ত করা হইয়াছে। মহৎ শব্দের বিভুত্ব অর্থ অপ্রসিদ্ধ। সুতরাং উহার অর্থান্তর উপস্থিতকালে এই বলা যায়, উৎকর্ষগুণে সারত্ব নিবন্ধনই এ স্থলে মহান শব্দের প্রয়োগ হইয়াছে। সুতরাং মহান শব্দের অর্থ উৎকর্ষণ গুণে সারাত্ববিশিষ্ট বস্তু ;- যেমন মহারােন্ত্র ইত্যাদি। প্রাক্ত পরমাত্মা, বিভু চুইয়াও দুজ্ঞেয়ত্ব নিবন্ধন অণু হইতেও অণু বলিয়া উক্ত হইয়াছেন। এ স্থলেও “তদুগুণসারত্বাত্ত তদ্ব্যপদেশঃ “প্রাজ্ঞবং” এই ব্রহ্মস্থত্রের দুৱাই জীবাত্মাতে প্রযুক্ত মহৎ শব্দের ব্যাখ্যা হইতে পারে। কেহ কেহ এমনও বলেন, আত্মার সচেতনতাগুণ ? মহৌষধির ন্যায় অচিন্তা-প্রভাববিশিষ্ট। এই গুণটি জীবাত্মার পক্ষে প্রধান (সার ) গুণ। এ গুণের কোনও ব্যভিচার নাই। সুতরাং আত্মার এই গুণের পক্ষে সর্বশরীরব্যাপিত্ব সম্ভবপর। যেমন প্রাঙ্ক সম্বন্ধীয় শ্রুতিতে পরমাত্মার অচিন্ত্য শক্তি লক্ষিত হয় ( অর্থাৎ তিনি মহান হইতে মহৰ্ত্তর এবং অণু হাঁটুত্ত্বেও অণু,) জীৱাত্মার সম্বন্ধেও মহৎ শব্দ প্রযুক্ত হইলে ঐ রূপ ব্যাখ্যা দ্বারা বুঝিতে হইবে, মুহৎ শব্দ কেবলী উৎকৃষ্টতামাত্ৰকেই এ স্থলে বুঝাইতেছে। " হরিচন্দন দৃষ্টান্ত দ্বারা উক্ত স্থােত্র তাদৃশ অর্থ অভিব্যক্তি না। হওয়াতেই "তদগুণসারত্বাদেবী” ইত্যাদি সুত্র করা হইয়াছে, ইহাই বুঝিতে হইবে । অগ্নির উষ্ণতার ন্যায়। এই সকল জীবগুণ অঁনাদি অনন্ত কাল হইতেই জীবাত্মায় চলিয়া Digitigstid at EFEnrig. Lu