পাতা:সর্ব্বসম্বাদিনী - জীব গোস্বামী.pdf/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুব্যাখ্যা De জীবের জ্ঞাতৃত্বসিদ্ধি স্বীকৃত হইলেন তরূপ তাহার কর্তৃত্বও স্বীকাৰ্য্য। অচেতনের স্বতঃ কর্তৃত্ব নাই। “চৈতষ্ঠের সহিত একই অধিকরণে জীবত্বের প্রতীতি ঘটে। সুতরাং চৈতন্য জীবুেরই ধৰ্ম্ম । স্থলবিশেষে অচেতনেরও কর্তৃত্ব দৃষ্ট হয়, উছাত্বেও জীবভাব আছে, বিশেষতঃ সৰ্ব্বত্রই অন্তৰ্য্যামীর * সম্বন্ধ আছে। সুতরাং অচেতনেও চেতনার প্রতীতি অসম্ভব নড়ে, যেমন স্তন্য ক্ষরণাদি। শ্ৰীতিতেও এ সম্বন্ধে প্রমাণ আছে। যথা,-হে গার্গি, এই অক্ষর ব্রহ্মের প্রশাসনে এই সকল পৰ্ব্বত্ব হইতে প্রাচ্য নদীসকল ও প্রতীচা নদীসকল ভিন্ন ভিন্ন দেশাভিমুখে প্রবাহিত হইতেছে।”-(বৃঃ আঃ, ৩,৮৫৯ )। “তোমা তুিন্ন কাহারও ক্রিয়া হয় না।” ইত্যাদি। সুতরাং চৈতন্যরূপ জীবের একটি ধৰ্ম্ম-কর্তৃত্ব । SBDBS KYBEESS BBS D SBKSsBS BB BBBB SLuBBBBDBDBBS KKSr S BDBD এই সাতটি उर्वरुब YBDBDD DDDS DBBB DBS BDBBB DBBDBD S S DBDBDSDY বহুল শ্রেীত প্রমাণও দৃষ্ট হয়। যথা,-“বিজ্ঞানাত্মা যজ্ঞ বিস্তার করেন, কৰ্ম্ম বিস্তার করেন", (তৈঃ উঃ, ২॥৫১)। এখানে বিজ্ঞান শব্দের অর্থ বুদ্ধি নহে-বিজ্ঞান শব্দের অর্থ“এ স্থলে জীব। “এই বিজ্ঞানাত্মা পুরুষ দ্রষ্টা, শ্রোতা ও মন্তা” ( প্রশ্ন উ; ), “যিনি বিজ্ঞানে অবস্থান করিয়া” (বৃঃ আঃ), এই অন্তৰ্য্যামী শ্রুতিতে তাহাকে বিজ্ঞানাত্মা বলিয়াই জানা যায়। , বৃহদারণ্যক উপনিষদে আরও লিখিত আছে,-“প্রাণসমূহ গ্ৰহণ করিয়া”, “বিজ্ঞান গ্ৰহণ করিয়া ।” এ স্থলে প্ৰাণ গ্রহণ ও বিজ্ঞান গ্ৰহণ ব্যাপারে লৌহাকর্ষক মণির ন্যায় কেবল জীবেরই কর্তৃত্ব সুচিত হয়। অন্য বস্তু গ্ৰহণাদি ব্যাপারে প্রাণাদি কারণস্বরূপ, কিন্তু প্ৰাণাদি গ্ৰহণে জীবাত্মা ভিন্ন অন্য কোন কৰ্ত্তা নাই। শুদ্ধ জীবেরও যে কর্তৃত্ব-ধৰ্ম্ম আছে, তাহা প্রদর্শন করার জন্য ভগবান সুত্রকার অপর সুত্রের অবতারণা করিয়াছেন। উহা এই,-“তথা চ তক্ষোভক্সথা” (২।৩৪০)এই সুত্রে প্রদশিত হইয়াছে যে, "তক্ষা (চুতার ), যেমন বাস্তাদি হন্তে লইয়া যখন পরিশ্রম করে, তখন দুঃখ ভোগ করে, যখন তাহা পরিত্যাগ করিয়া বিশ্রাম করে, তখন যেমন সুখী হয়, জীব৪ সেইরূপ স্বপ্নজাগরণে দুঃখী হয়, সুষুপ্তিতে সুখী হয় এবং বিমুক্তাবস্থায় সুধস্বরূপত্ব প্রাপ্ত হয়। এই স্বত্রদ্বারা প্রতিপন্ন হইতেছে যে, জীব করণযোগে স্বশক্তিবলে কৰ্ত্ত হয়। ছুতার যেমন তদীয় কাৰ্য্যে বাস্যাদি কারণ ধারণ করিয়া স্বশক্তি দ্বারা উভয় প্রকারে কৰ্ত্ত হয়, জীবও তেমনি স্বশক্তি ও কারণযোগে উভয় প্রকারে কৰ্ত্ত হয়েন, ইহাই সূত্রার্থ। 匣 এ সম্বন্ধে আরও একটি স্বত্র আছে,-“কৰ্ক-শাস্ত্রার্থবিত্ত্বাৎ" (ব্রহ্মস্থ, ২৩,৩৩)। ( জীবই কৰ্ত্ত, জীবের কর্তৃত্ব আছে বলিয়াই প্লাস্ত্ৰ সাফল্য অক্ষুন্ন থাকে।) প্রত্যেক কৰ্ম্মেরই পশ্চাতে ইনি বর্তমান থাকেন বলিয়াই কৰ্ত্তা। জড়ান্মক শরীরেক্রিয়াদি দ্বারা যে সকল কাৰ্য্য সম্পন্ন হয়, সেই সকল কার্যের কর্তৃত্ব সেই ঔদ্ধ পুরুষ হইতে প্রবর্তমান হইলেও প্রকৃতিবৃত্তিপ্রাচুর্য্য হেতু সেই * সকল শরীর, ইন্দ্ৰিয়াদি-প্রাধান্তবশতঃ জীবের করণীরূপেই গৃহীত হয়। তজ্জন্য বলা হইয়াছে, জীবের কর্তৃত্ব ।