পাতা:সহমরণ বিষয় প্রবর্ত্তক ও নিবর্ত্তকের সম্বাদ.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| | नरष५ त्रिष। 世。 অজ্ঞানকে সকাম কৰ্ম্ম করিতে উপদেশ করেন না, যেমন রোগী মানুন্য ফুপথ প্রার্থনা করিলেও উত্তম বৈদ্যা কুপথ্য দেন না। এবং এই প্রমাণানুসারে স্মার্চ ভট্টাচাৰ্য্য ব্যবস্থা লিখেন, “পণ্ডিতেনাপি মুৰ্থ কাম্যে কৰ্ম্মণি ন প্ৰবৰ্ত্তয়িতব্যঃ” পণ্ডিত ব্যক্তি মূৰ্খকে কাম্য কৰ্ম্মে প্ৰবৰ্ত্ত করিবেন না। কি আশ্চৰ্য্য বিপ্ৰনামা রাগান্ধ হইয়া এই দেশপ্ৰসিদ্ধ গ্রন্থেও মনোযোগ করেন না। ... I সপ্তম লেখেন, সহমরণোদির সঙ্কল্পবাক্যে ফলের উল্লেখ না করিয়া কাম্য কৰ্ম্ম করিলে সে কৰ্ম্ম অন্য২ কৰ্ম্মের ন্যায় চিত্তশুদ্ধির কারণ হয় কি না ৷ উত্তর, প্রথমত স্বামীর সহিত স্বৰ্গভোগ কামনা ব্যতিরেকে স্ত্রীলোকের আত্মহত্যাতে প্ৰবৃত্তি কদাপি । হইতে পারে না, সুতরাং প্ৰবৃত্তির অভাবে শরীরদাহ ক্রিয়ার সম্ভাবনা নাই । দ্বিতীয়ত নিত্য ও নৈমিত্তিক কৰ্ম্ম ব্যতিরেকে আত্মার পীড়া দ্বারা অথবা অন্যের নাশের নিমিত্ত যে তপস্যা তাহাকে তামস করিয়া গীতাতে লেখেন, এবং ঐ তামস কৰ্ম্মকৰ্ত্তা অধোগতি প্রাপ্ত হয়। ইহাও ঐ ভগবদগীতাতেই লেখেন। “মূঢ়গ্ৰাহেণাত্মনে। যৎ পীড়য়া ক্রিয়তে তপঃ । পারস্যোৎসাদনাৰ্থং বা তত্তামসমুদাহৃত”। “জঘন্যগুণবৃত্তিস্থা অধো গচ্ছন্তি তামসা:”৷ অতএব বিপ্ৰনাম যদি বিশেষ মনোযোগ । করিয়া গীতা দেখিতেন তবে এ প্রশ্নও করিতেন না। মিতাক্ষরাতে কাম্য কৰ্ম্মের দ্বারা জীবন নাশের নিষেধ শ্রুতিও বুঝি বিশেষরূপে দেখেন নাই। “তস্মাদু হ ন পুরায়ুষঃ স্বাকামী প্ৰেয়াৎ”। অতএব স্বর্গ কামনা করিয়া পরমায়ুঃ সত্বে আয়ুৰ্য্যয় করিবেক না, অর্থাৎ মরিবেক না। এবং সহমরণাদি কাম্য কৰ্ম্ম সকল কামনা পরিত্যাগপূর্বক করিলে চিত্তশুদ্ধি হয় এরূপ ব্যবস্থা যদি বিপ্ৰনামা স্থির করিয়া থাকেন তবে বিপ্ৰনামা ইতঃপর ইহাও, প্ৰবৃত্তি দিতে সমর্থ হইবেন, যে স্মাৰ্ত্তষ্কৃত নরসিংহপুরাণের বচন আছে যে “জলপ্ৰবেশী চানন্দং প্রমোদং বহিসাহসী। ভৃগুপ্ৰপাতী সৌখ্যন্ত রণে চৈবাতি নিৰ্ম্মলং । অনশনস্থতো য: স্যাৎ স গন্ধেহজ, ত্রিপিষ্টপং”। যে ব্যক্তি জলে প্ৰবেশ করিয়া মরে সে আনন্দনাম স্বৰ্গ প্রাপ্ত হয়, সাহসপূর্বক অগ্নিতে প্ৰবেশ করিয়া যে মরে সে প্রমোদনাম স্বৰ্গ প্ৰাপ্ত হয়, র্বিত্যাদি উচ্চাদেশ হইতে পতনপূর্বক যে মরে সে সৌখ্যনামক স্বৰ্গকে পায়, "