পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনহৱতাৰ্লী চেনেই, যামিনীর মত ছেলেরাও তার অজানা নয় । অন্য কারও ঘরজামাই হইলে যামিনীকে সে আমল দিত। কিনা সন্দেহ, সন্ত্রীক যামিনীকে বাড়ীতে থাকিতে দিলে যে হাঙ্গামা আরম্ভ হইবে সেটা সে বেশ অনুমান করিতে পারে । তাছাড়া, বেশীদিন বড়লোক শ্বশুরকে অবহেলা করিয়া শ্বশুরবাড়ীর আরাম ছাড়িয়া এখানে বাস করিয়া থাকিবার মানুষও যামিনী নয়, তার বড়লোক শ্বশুরের কন্যাটিও নয় । সত্যপ্রিয়ের কাছ হইতে একবার ডাক আসিলেই দু’জনে ফিরিয়া যাইবে । সত্যপ্রিয়কে একটু নরম করার জন্য দু’দিনের জন্য এ বিদ্রোহ ! তবু দু’দিনের জন্যও সত্যপ্রিয়কে একটু বিপাকে ফেলা চলিবে শুধু এই জন্যই যশোদা যামিনীর প্রস্তাবে রাজি হইয়া গেল। প্ৰতিহিংসা ? তাছাড়া আর কি বলা চলে ! মুখোমুখি দু’টি বাড়ীতে পচিশ ত্রিশটি মানুষ নিয়া যশোদার ছিল গুছানো সুখের সংসার, সত্যপ্রিয় সে সংসার ভাঙ্গিয়া দিয়াছে । সত্যপ্রিয়কে জালাতন করার সুযোগ কি সহজে छा छ। यiश्व ! ক্ষতি করার জন্য মানুষকে কষ্ট দিয়া সুখ পাওয়া স্বভাব যশোদার নয়, সত্যপ্রিয়কে আঘাত দেওয়ার জন্য ভাবিয়া চিন্তিয়া কোন উপায় আবিষ্কার করার কথাটা তার মনেও আসে নাই । যামিনী বাড়ী বহিয়া আসিয়া প্ৰতিশোধের এরকম একটা সুযোগ হাতে তুলিয়া না দিলে যশোদা কোনদিন কিছু করিত না । তাছাড়া, মেয়ে-জামাইকে এভাবে বাড়ীতে রাখিলে সত্যপ্ৰিয়ের ধনসম্পদ নষ্ট হইবে না, হাত-পাও ভাঙ্গিবে না। হয়তো শুধু সহ করিতে হইবে ଅକଲ୍