পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভল্লাহ ৩ডলী মচেতন হইয় ওঠে, সাড়া দিতে একটু সময় লাগে। মস্তিষ্কের ক্রিয়া যেন আজকাল তার একটু শ্লথ গতিতে সম্পন্ন হয়। কেমন একটু বোকা हiबांद्र भठ श्व *फ़िवांछ भांकृसत्र । যশোদার পা জখম হইয়া দরদর করিয়া রক্ত পড়িতেছে এটা খেয়াল করিয়া উঠিতে একটু তার সময় লাগে, কিন্তু তারপর চোখের পলকে বিমানো মানুষটা যেন সজীব হইয়া উঠে অতিমাত্ৰাব্য। বগলের লাঠি ফেলিয়া দিয়া ন্যাংচাইতে ন্যাংচাইতে কাছে আগাইয়া যায়, গায়ের নূতন আলোয়ানটি দিয়া রক্ত মুছিতে মুছিতে ব্যাকুলভাবে বলে, “ডাক্তার ডেকে আনি ?” আলোয়ানটি কাড়িয়া নিয়া যশোদা বলে, ‘ডাক্তার না হাতি ডাকবে । জল আনো এক ঘটি আর খানিকটা ন্যাকড়া ।” ধনঞ্জয় ব্যস্ত হইয়া উঠিয়া পড়ে, একপায়ে দুয়ারের কাছে গিয়া বগললাঠি তুলিয়া নিতে গিয়া হুমড়ি খাইয়া পড়িয়া যাওয়ার উপক্রম করে। যশোদা ডাকিয়া বলে, “হুটোপুটি ক’রো না বাবু, ধীরে সুস্থে আনে ৷” 'द्रद्धक °फुgछ 6रु ८ो। !' “কই রক্ত পড়ছে ? টিপে ধরে” আছি দেখছো না ?” ধনঞ্জয় জল আর ন্যাকড়া আনিতে যায়, পায়ের পাতার ফুটা টিপিয়া এরিয়া রাখিয়া যশোদা চাহিয়া থাকে উনানের ভগ্নস্তুপের দিকে। একদিন দু’বেল এই উনুনে বিশ পঁচিশ জনের রান্না করিত যশোদা, কুলী মজুরের মোটা ভাত, যশোদা যাদের আপনি করিতে গিয়াছিল। আজ তারা সকলেই ক্ষতাকে ত্যাগ করিয়াছে, বাড়ীতে তার মানুষ নাই। পরের বাড়ীর একটা মেয়েকে চুরি করিয়া ভাইট পৰ্য্যন্ত তার কোথায় উধাও হইয়া গিয়াছে। po