পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুনহেৰুৱতী এদিকে ধনঞ্জয় চেঁচামেচি আরম্ভ করে, “ও চাঁদের মা, জাঁকড়া ৰে अंछि ना ?' “ছোট টিনের তেরঙ্গে ছেড়া কাপড় আছে একটা, সেইটো নিয়ে er ” নির্দেশ দিয়া বলিয়া যশোদা চুপ করিয়া বসিয়া থাকে। টিনের তোরঙ্গটি যে চাবি বন্ধ আছে, ধনঞ্জয় খুলিতে পরিবে না, একথা তার মনে আছে । তবু সে আর সাডাশব্দ দেয় না, পায়ের ক্ষত হইতে আঙ্গুলোর ছিপি খুলিয়া রক্তপাতের পথটাও মুক্ত করিয়া দেয়। এ একটা সাময়িক মানসিক বিলাস ভাঙ্গ মনের । নিজেকে আঘাত করিতেও সময় বিশেষে মানুষের বড় ভাল লাগে, নিজের লাল রক্তের অপচয়ও ভাল লাগে । কয়েকবার ডাকাডাকি করিয়া ধনঞ্জয়ও চুপ করিয়া যায়, খানিক পরে জলের ঘটি আর ছেড়া কাপড় হাতে করিয়া আসিয়া যশোদার কাণ্ড দেখিয়া আবার ব্যাকুল হইয়া পড়ে। “টিপে ধর, টিপে ধর, শীগগির টিপে ধর ।” যশোদা করুণভাবে একটু হাসিয়া বলে, “কি করে” খুললে বাসকো ?” ‘টেনে খুলেছি।” “তার মানে বাসকোর তালাটি ভেঙেছে আমার । ধন্য তুমি।” পায়ে একটা লোহার শিক বিধিয়া যাওয়া বাধা হিসাবে গণ্য করিবার মত গুরুতর ব্যাপার কিছু নয়। বাড়ী ছাড়িয়া যাওয়ার আর সব ব্যবস্থাই যখন হইয়া গিয়াছে, বাড়ীটা বিক্রয় করিতে পৰ্য্যন্ত বাকী আছে, কেবল হাতে টাকাটা পাইয়া দলিল রেজেক্ট্রী করা, ভারি ভারি G)