শুশহরতনী “কিন্তু বিয়ে কি হবে ? ? ধনঞ্জয় চমকাইয়া উঠিল ।- "বিয়ে ? কার বিয়ে ?” ধনঞ্জয়ের সেই চমক দেখিয়া, চমকের মানে বুঝিয়া, যশোদার মনের মেঘ ফাক হইয়া কোথা হইতে যেন খানিকটা সোনালী রোদ আসিয়া श्रछिल । ধনঞ্জয়ের হাটুতে টোকা দিয়া একটু হাসিয়া সে বলিল, “কেন, তোমার বিয়ে ? আমার সঙ্গে ? এবেলা যশোদা আর রান্নার ব্যবস্থা করিল না। একটু খোড়াইতে খোড়াইতে গিয়া দু’জন লোক ডাকিয়া আনিয়া, নিজেও কোমরে আঁচল জড়াইয়া ঘর-দুয়ার ধোয়ামোছা আরম্ভ করিয়া দিল । বেলা তিনটার সময় দই চিড়ার ফলারে পেট ভরাইয়া মাটি ছানিয়া রান্নাঘরে তৈরী করিতে বসিল ছোটখাট একটি উনুন । সব কাজে সাহায্য করিতে গিয়া ধনঞ্জয় সারাদিন আজ যশোদার বকুনি শুনিয়াছে, উন্তন তৈরী করিতে দেখিয়া সে অবাক হইয়া বলিল, “দু’চার দিনের জন্য আবার উনুন পাতছ কেন ?” ইটের উপর আড়াআড়িভাবে শিক সাইতে বসাইতে যশোদা বলিল, “দু’চার দিন কে বললে ? থাকতে হ’লে রোধেবেড়ে খেতে হবে তো ? না, ফলার করবো রোজ ?” ‘ক'দিন থাকবে ?? “চিরদিন ।”
- ५८न् (८९८ ८ । ??
“কোন যাব ?" Sa