পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऊाष्टझडक्रीनौ কত দুর্বল যশোদার অজানা ছিল না। তাই তার চেহারা দেখিয়া আর কথাবার্তা চালচলনে মানসিক বিকারের স্পষ্ট লক্ষণ দেখিয়া যশোদা ভয় পাইয়া গেল । অনেকদিন পরে সত্যপ্রিয়কেও আজ যশোদা দেখিতে পাইল । জ্যোতিৰ্ম্ময় চলিয়া যাওয়ার একটু পরেই। প্ৰথমে চোখে পড়িল সত্যপ্রিয়ের গাড়ী, পথের ধারে দাড়াইয়া আছে। অনেকটা আগাইয়া গিয়া দেখা গেল। সত্যপ্রিয়কে । দু’জন সাহেবী পোশাক পরা লোকের সঙ্গে কথা বলিতে বলিতে সে গাড়ীর দিকে ফিরিয়া যাইতেছিল। খুব সম্ভব নূতন কেনা জমি ও বাড়ীগুলি দেখিতে এ পাড়ায় আসিয়াছে । পথের দুই প্ৰান্ত ধরিয়া দুইজন চলিতেছিল, যশোদা কল্পনাও করে নাই সত্যপ্রিয় তার সঙ্গে কথা বলিবে । পরস্পরকে অতিক্ৰম করিয়া যাওয়ার পূর্ব মুহূৰ্ত্তে সত্যপ্রিয় বলিল, “কেমন আছ চাদের-মা ?” কাছে গেল না, শুধু দাডাঁহল। যশোদাও পথের অপর প্রান্তে উদাড়াইয়া পড়িল। শান্ত কণ্ঠে বলিল, “ভাল আছি। আপনি ভাল তো ?” সত্যপ্ৰিয়র সঙ্গের লোক দু’জন বিস্মিত চোখে চাহিয়া আছে। <একজন সাইকেল আরোহী ঘণ্টা বাজাইয়া চলিয়া গেল। পথের মাঝে এ ভাবে পীড়ন করা কেন ? এত করিয়াও কি সত্যপ্ৰিয়ের সাধ মেটে নাহি ? “চলে যাচ্ছে একরকম ।’ সত্যপ্রিয় চলিতে আরম্ভ করিল। যশোদা একমুহূৰ্ত্ত নড়িতে পারিল না । তার চোখে হঠাৎ জল আসিয়া পড়ায় পথটা একটু ঝাপসা হইয়া fiधांछिल ।