পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুনহরতলী ।

    • মান করিয়া চলে। প্রথমটা যশোদার একটু কেমন কেমন লাগিয়াছিল,

দু’জনের একটা ভালোবাসার খেলা মাত্র । দু’জনে বড় মজা পায় এ খেলায় । এই বয়সের দু’টি ছেলেমেয়ের মধ্যে, মিলন যাদের হইয়াছে মোটে ছ'মাস আগে, এমন একটা আশ্চৰ্য্য মিল আছে মনের যে যেটুকু যশোদা বুঝিতে পারে তাতেই সে অবাক হইয়া যায়। সুব্রতা যদি আব্দার ধরে, আমায় আকাশের চাদ পেড়ে দাও,-আদর দিলেই বেীরা সময় অসময়ে যে আব্দার ধরিয়া স্বামীদের মেজাজ বিগড়াইয়া দেয়,- অজিত সঙ্গে সঙ্গে বলে, দিচ্ছি পেড়ে। সুব্ৰতা জানে অজিত বুঝিবে এটা তার আবদার, সুব্রতার এই জানা অজিত জানে, অজিতের এই জানাও সুব্রতা জানে, আবার সুব্রতার-দু’জনের জানা জানির এই প্রক্রিয়া যশোদার মনে হয় অন্তহীন আর রহস্যময়, তবু যেন দু’জনের মধ্যেই এর সৰ্ব্বাঙ্গীণ পূর্ণতা ঘটিয়াছে, সহজ ও শান্ত আনন্দের গভীর অনুভূতিতে। একেই কি বলে ভালবাসা ? মানের মিল ? श्Csiा उठाCद । হিংসার মত কি যেন একটা মৃদু প্ৰতিক্রিয়া জাগে যশোদার মনে, ক্ষীণ একটা অস্বস্তিবোধের পীড়ন চলিতে থাকে । সুব্রতা তার ঘর সাজায়, সকালে আর সন্ধ্যায় অজিত তাকে সাহায্য করে । তিন টাকা ভাড়ায় যশোদা বড় ঘরখানাই তাদের দিয়াছে ; একটি তোরঙ্গ আর দুটি সু্যাটুকেশে ঘরটা যেন খালিখালি দেখায়। সুব্রতা দেয়ালে টাঙায় ছবি আর ফটো, জানালায় দেয় পর্দা, অজিতকে দিয়া আলনা আনায় আর বেশী-বেশী জাম-কাপড় আকারণে বাহির করিয়া NONO