পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনহৱতািকনী বদলে তাকে বিবাহ করিয়া অজিত যে গোলমাল সৃষ্টি করিয়াছে যশোদাকে প্রথমদিন তাই ব্যাখ্যা করিয়া শোনানোর সময় অজিতকে হাসিতে দেখিয়া সুব্রতা সবিনয়ে ঘোষণা করিয়াছিল, সে সুন্দরী বটে। কিন্তু তার মত গণ্ডা-গণ্ড। সুন্দরী মেয়ে রাস্তাঘাটে গড়াগড়ি যাইতেছে। সুব্রতার কথা আর ভঙ্গিকে তখন যশোদার মনে হইয়াছিল, একেলে মেয়ের পাকামির প্যাচ, ঘষামাজ ন্যাকামি । তারপর যশোদা জানিতে পারিয়াছে মেয়েদের পক্ষে এ বিশ্বাস পোষণ যতই বিস্ময়কর হোক, কথাটায় সুব্রতা সত্য সত্যই বিশ্বাস করে । তার মত রূপবতী মেয়ের পক্ষে নিজের রূপ সম্বন্ধে এমন একটা ধারণা অন্তরিকতার সহিত পোষণ করা যে সম্ভব, এ অভিজ্ঞতা যশোদার ছিল না । রাম-লক্ষ্মণের মন ভুলানোর প্ৰতিযোগিতায় সীতা-উৰ্ম্মিলার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে এ বিশ্বাস যে সুৰ্পণখার ছিল, সে তো সে স্ত্ৰীজাতীয়া জীব বলিয়াই ! স্নেহ করার সঙ্গে সুব্রতাকে যশোদা তাই একটু শ্রদ্ধাও করিতে শিখিয়াছে । 8t