পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਝਣ অমূল্যর স্ত্রী আশাপূর্ণ পান চিবাইতে চিবাইতে বলিল, “আমরা এলাম। কই, তোমার নতুন ভাড়াটে কই চাদের-মা ?” যশোদা বলিল, “আমার নতুন ভাড়াটেকে খুজিছ পাচুর মা ? এসো, স্বাসবে এসো ।” আশাপূর্ণার পান চিবান বন্ধ হইয়া গেল। এতকাল কুলি-মজুরের কেলজে কারবার করিয়া প্ৰায় তাদের মত বনিয়া গিয়া এখনো তাকে সমানের মত সম্বোধন করার মত ভদ্রতা যশোদার অাছে, সে তা কল্পনাও করে নাই । কয়েক মাসের মধ্যে দেখা গেল যশোদার বাড়ীতে দুপুরবেলা রীতিমত মেয়েদের বৈঠক বসিতে আরম্ভ করিয়াছে। দু’একটি মেয়ে নয়, উকিল, ডাক্তার, মাষ্টার, প্রফেসর, কেরাণী, জীবনবীমার এজেণ্ট প্রভৃতি অনেক দুরকম ভদ্রলোকের বাড়ীর অনেক মেয়ে । সকলের বাড়ী যে খুব কাছে তাও নয়। বড় রাস্তার ধারের কয়েকটি বাড়ীতে পৰ্য্যন্ত সুব্রতা তার খপরিচয়ের অভিযান আগাইয়া নিয়া গিয়েছে । হাসি-গল্প গান-বাজনায় যশোদার বাড়ী দুপুরবেলা মুখরিত হইয়া ওঠে। সুব্রতা মোটামুটি গান জানে, একটি হারমোনিয়াম আর একটি সেতার তার সঙ্গেই আসিয়াছিল । তারপর কয়েক জোড়া তাস আসিয়াছে, নগেন ডাক্তারের বাড়ীর ক্যারাম বোর্ডটি আসিয়াছে। একটি থাকুরিয়া মুখ আর পরিচর্চার মালমসলা তো সকলে সঙ্গে করিয়াই আনে । একটা আডিডা পাইয়া সকলেই খৃসী । সুব্রতা যেন মেয়েদের একটা ছোটখাট ক্লাব সৃষ্টি করিয়া ফেলিয়াছে। কাজটা পাড়ার যে কোন বাড়ীর যে কোন মেয়ে ইচ্ছা করলেই করতে পারিত কিন্তু এতদিন কারও Co