পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহস্র২৩ণী ঘরে আর উপেক্ষা, অবহেলা বা বিতৃষ্ণার বদলে যশোদার মনে জাগে মমতা । অজানা কিছু নয়, নতুন কিছু নয়। যশোদা এদের জানে, এদের জীবন যাত্রার পরিচয়ও রাখে। এদের দূরেও সে রাখিত সেই জন্যই। তবে দূরে রাখিয়া মোটামুটি ধারণা পোষণ করা এক কথা । একঘরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘনিষ্ঠভাবে বসিয়া অসংখ্য খুঁটিনাটি বিকৃতি আর ব্যর্থতা আবিষ্কার করিয়া মমতা বোধ করার সঙ্গে তার অনেক পার্থক্য । কেবল অসুখের সময় গিয়া সেবা করিয, বিপদের সময় গিয়া সাহস দিয়া আর উৎসবের সময় গিয়া খাটিয়া আসিয়া যশোদা যেন ভুলিয়াই গিয়াছিল যে এরাও মানুষ । চাদ মারিয়া যাওয়ার পর সে যেমন ডাকছাড়িয়া কঁাদিয়াছিল, নগেন ডাক্তারের ফস মোটা বৌ অতসী ছেলের শোকে তেমনিভাবে কঁদিয়াছে । অতসীর এখনো তিনটি ছেলে আর দু’টি মেয়ে আছে। বড় ছেলে রমেন ডাক্তারি পড়ে। বড় মান মুখখান ছেলেটার, বড় বিষঃ স্তিমিত দৃষ্টি। দেখিলেই যশোদার মনটা কেমন করিয়া ওঠে। ক'দিন আগে দুপুরবেল কি দরকারে সে মাকে ডাকিতে আসিয়াছিল, তখন তার চোখে যশোদা যেন দেখিতে পাইয়াছিল, একটা চাপা-পড়া লাজুক ভাবপ্রবণ ক্ষুধা । “ব’লগে যা, আসছি’ বিলিয়া ছেলেকে বিদায় দিয়া হাতের তাস নামাইয়া সকলের দিকে চাইয়া অতসী তৃপ্তির হাসি হাসিয়াছিল,- সগৰ্বে । -“আর বছর ডাক্তারি পাশ করবে। এক বাড়ীতে দুজন গঙ্কার BDBSDBBBDBD LBDt DBDD BB KYSqBDBYD D DD DDS C3