পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুনহৱতাৰ্লী ৰাম আওকাজে ঘরটা গম গম করিতে থাকিলে যশোদা বনলতা আর অনুরূপার মুখের দিকে তাকায় । এই দু'টি জননীর মধ্যে ভাব জমানোর যে তুচ্ছ খেয়াল হইতে এই সুর চর্চার উৎপত্তি হইয়াছে, যশোদা তা ভোলে নাই । সুর চর্চা অবশ্য যশোদা আর থামিতে দিবে না, আরও ব্যাপক ও শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে চর্চা করাইবে, কিন্তু ওদের দু’জনের ভাব হওয়াটা তো দরকার ? হঠাৎ যশোদা উঠিযা যায়, ঘরের এক প্ৰান্ত হইতে হাত ধরিয়া অনুরূপাকে অন্য প্ৰান্তে বনগাতার কাছে টানিয়া আনে, বনলতার পাশে তাকে বসাইয়া দু'জনের তাতে হাত মিলাইয়া দিয়া আবেগ কম্পিত গলায় বলে, “আপনাদের দু’টি মেয়েই রত্ন । ওদের জন্যই আমার সাধ মিটাল । 'Gब्रां पति अभिाल cभcक्ष श्ड !” বনলতা প্ৰায় কঁাদিয়া ফেলে ৷-“কত ওস্তাদ রেখে কত চেষ্টায় মেয়েকে আমি গান শিখিয়েছি।” অনুরূপ বলে, “আপনার মেয়ে সত্যি শেখার মত করেই শিখেছে ।” বনলতা কঁাদিয়া ফেলে ৷-“ওর গলাটা যদি তোমার মেয়ের মত মিষ্টি 'ऊ लांछे ।' তিন মাসের মধ্যে পথের ওদিকে এবাড়ীর মুখোমুখি যশোদার অন্য বাড়ীতে একটি রীতিমত সঙ্গীত বিদ্যালয় স্থাপিত হইয়া গেল। বাড়ীর সামনে ছোট একটি কাঠের ফলকে নামটা লিখিয়া টাঙ্গাইয়া দেওয়া ৪ হইল। বাড়ীটি যশোদা কোনদিন আর ভাড়া দিবে না। ঠিক করিয়াছিল। তবে ভাড়া দেওয়া আর কাজে লাগানোর মধ্যে তফাৎ আছে। No