পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সনহৱতলী আসিল। যামিনীর সুন্দর মুখখান তখন টুকটুকে লাল হইয়া গিয়াছে। এদিকে আসিয়া সে ঘাড় নীচু করিয়া সত্যপ্রিয়ের পিছনে দাড়াইয়া রহিল। সত্যপ্রিয় বলিল, “তুমি গাড়ীতে বোসে গিয়ে যামিনী। আমি ডাক্তারবাবুর সঙ্গে কথা বলে আসছি।” যামিনীকে পরীক্ষা করিল অজানা অচেনা গরীব এক ডাক্তার কিন্তু চিকিৎসা আরম্ভ করিল। সত্যাপ্রিয়ের পরিচিত মস্ত নাম-করা কবিরাজ । যামিনীর জন্য নানা অনুপানের সঙ্গে পাথরের খালে কবিরাজা বাড়ি পোষণ করা হইতে লাগিল, অনেকরকম সুপাচ্য ও পুষ্টিকর পথ্যের ব্যবস্থা হইল। ওষুধ ও পথ্যের ব্যবস্থা সত্যপ্রিয় সমস্তই মানিয়া নিল, কিন্তু একটা বিষয়ে কবিরাজের সঙ্গে তার মতের মিল হইল না । চিকিৎসার সময়টা যোগমায়াকে আত্মীয়ের কাছে পাঠাইয়া দেওয়ার প্রস্তাবে কবিরাজ षडृ नीएिव् । “ভালার চেয়ে তাতে মন্দই বেশী হবে মনে হয় ।” কিন্তু চিকিৎসকেরও সব কথা স্বীকার করা সত্যপ্ৰিয়ের পক্ষে অসম্ভব, এ-যুগের চিকিৎসকেরা কি জানে ? জানিলেও সত্যপ্ৰিয়ের চেয়ে তো বেশী জানে না ! ‘ব্রহ্মচৰ্য্য পালন না করলে শুধু ওষুধ আর পথ্যে কি ফল হবে কবীরেজ মশায় ?” কবিরাজ মূঢ় হাসিয়া বলিল, “স্বামী-স্ত্রীকে গায়ের জোরে তফাৎ করলেই কি ব্ৰহ্মচৰ্য্য পালনের ব্যবস্থা হয়ে যায় ? ওদের দেখা-সাক্ষাৎ হ’তে না। দিলে। ফলটা খারাপ হবে।” 4o