পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऊाञ्झड5ट्नी করিতে করিতে হঠাৎ যেন দেয়ালে মাথা ঠুকিয়া সে শান্ত হইয়া গিয়াছে। একটা অদ্ভুত স্তব্ধতা ভরা শাস্তির শান্তভাব। যামিনী দিল্লী রওনা হইয়া যায়। আর অতদূরে অসুস্থ স্বামীকে কাজ করিতে পাঠানোর জন্য বাপেব ওপর রাগ করিয়া যোগমায়া বাড়ীর সকলের সঙ্গে কথা বন্ধ কবিয়া দেয় । শুনিয়া সত্যপ্রিয় নিশ্বাস ফেলিয়া ভাবে, সকলে কি অকৃতজ্ঞ । যার ভালর জন্য যা করি তাতেই তার রাগ কয় । মাস দুই পরে পিসতুতো বোন একদিন সত্যপ্রিয়কে একটা খবর দেয় । শুনিয়া প্ৰথমটা সত্যাপ্রিয় কথাটা বিশ্বাস করিতেই চায় না ।

  • कां?ट्र छळ रुंद }'

“মায়ায় । এই চার মাস । ” সংবাদটা এমন খাপছাড়া মনে হয় যে সত্যপ্রিয় তবু বোকার মত আবার জিজ্ঞাসা করে, “ভুল হয়নি তো তোমাদের ?” দিল্লীর সাব-ম্যানেজার তিন মাসের ছুটি নিয়াছিল। যামিনী তিনমাস কাজ করিবার জন্য সেখানে গিয়াছে। দু’চারদিনের মধ্যেই তাকে সেখানে স্থায়ী করার নির্দেশপত্ৰ পাঠানোবা কথাটা সত্যপ্রিয় ভাবিতেছিল ? এবার একেবারে চুপ করিয়া যায়। সহজে সত্যাপ্রিয় লজ্জা পায় না, । হঠাৎ যেন মেয়ের কাছে মুখ দেখাইতে তার লজ্জা করিতে থাকে । কেবল মেয়ের কাছে নয়, আরো অনেকের কাছে। জানিয়া বুঝিয়া ইচ্ছা করিয়া সত্যপ্রিয় অনেক ব্যাপারে বাহাদুরী করিয়াছে, এমন অনেক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিয়াছে যেদিকে তার তাকানোই উচিত ছিল না, কিন্তু কারো কাছে কোনদিন এতটুকু সঙ্কোচ বোধ করে নাই। মনে মনে বরং 4C