পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনহরতলী “কল্পনাও করিতে পারে নাই। সব বেচিয়ে দিয়া সহরের আরও তফাতে শাস্তায় জমি কিনিয়া আবার তারা বাড়ী-ঘর তৈরী করিয়া নিবে, একটা মোটা টাকা হাতে থাকিয়া যাইবে । এখন তাদের ভয় শুধু এই, হঠাৎ द्र भ न भिञ्ज च । কিন্তু যশোদার জন্য কেউ তারা বাড়ী ধিক্রী করতে পারিতেছে না । যে কোম্পানী সমস্ত পাড়াটা চড়া দামে কিনিতে চায়, মাঝখানে যশোদার বাড়ী দু'টি বাদ পড়িলে তারা বেশী দাম দিবে না । সকলেই যদি বেচিতে রাজী হয়, এক কাঠা জমিও বাদ না পড়ে, তবেই যশোদার বাউীর এপাশের জমির দরটা তাদেরও দেওয়া চলিতে পারে।--নয়তো অত দামে ছাড়া-ছাড়া জমি কিনিয়া কোম্পানীর কি লাভ হইবে ? এইসব বাড়ীর মালিকেরা একত্র হইয়া অনেক পরামর্শ করিয়াছে, যশোদাকে বুঝাইয়াছে, অনুরোধ করিয়াছে, ভয়ও দেখাইয়াছে। কুমুদিনী যে তাকে কত খোচাইয়াছে বলিবার নয়। কুমুদিনীর বাড়ীটি ছোট, কিন্তু যায়গা অনেক । বাড়ীর পিছনে তার একটি ছোটখাট বাগান আছে, পেয়ারা, লেবু, ডালিম গাছে বাগানটি ঠাসা । অনেকগুলি টাকা হাতে পাওয়ার সখটা কুমুদিনীর চিরদিনই বড় প্রবল। টাকা হাতে পাওয়ার সখটা অবশ্য কারও কম থাকে না, কিন্তু একসঙ্গে মোটা টাকা পাওয়ার জন্য কুমুদিনীর মনটাই বোধ হয় সকলের চেয়ে বেশী ছটফট করিতেছে । তারপর মনের অশান্তি আর সকলের পীড়াপীড়িতে অস্থির হইয়া উঠিয়া বাড়ী বেচিতে যশোদা যদি বা রাজী হইয়াছিল, শেষমূহুর্তে হঠাৎ আবার তার মন বদলাইয়া গেল । $3