পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জপহু মাতঙ্গলী নিয়াছিল, যতদিন পারে অপেক্ষা করিয়া একেবারে শেষদিন লোকটি অগত্যা সত্যপ্ৰিয়ের কাছে আসিয়াছে । “কোটিপতি মানুষ আপনি, আপনার ছেলের নামে এ কাটা টাকার জন্য নালিশ করব ? আমি কি পাগল ? আমি জানি আপনার কাছে এসে দাড়ালেই টাকা পাওয়া যাবে। দু’মাস ছ’মাস অপেক্ষা করব তাতে আর কথা কি ? তবে কি জানেন, হঠাৎ বড় দরকার পড়ে গেল টাকাটার -আজকের মধ্যে না পেলে নয় ।” পরদিন কোটে নালিশ রুজু না করিলে দেনাটা তামাদি হইয়া যাইবে । সত্যপ্ৰিয় নীরবে একটা চেক লিখিাপ্পা দিয়া ছিল । অন্ধকার ঘরে চুপ করিয়া বসিয়া সত্য প্রিয় ভাবিতে থাকে। দর্শন, বিজ্ঞান, রাজনীতির সমস্যার কথা নয় । অন্য কথা । বুদ্ধিটা সত্যপ্রিয়ের সত্যই তীক্ষ্ম । কিন্তু কতকগুলি ব্যাপারে মানুষের তীক্ষুবুদ্ধি বুঝিবার কাজেই শুধু লাগে, মানুষ বুঝিতে চায় না। সত্যপ্রিয় জানে, একই মাসুষের মধ্যে এরকম সমাবেশ ঘটে না, তবু সে আশা করে গরীব মা-বাপকে পাঠানোর জন্য জামাই তার যদিও বা যোগমায়াকে কষ্ট দিয়া তার কাছে টাকা আদায় করার উপায়টা অবলম্বন করিয়াছে, মানুষটা সে আসলে ভাল, মনটা তার নিশ্চয় নরম, টাকার ব্যবস্থার अछ' ছাড়া অন্য কোন কারণেই তার মেয়েকে হয় তো সে কষ্ট দেয় না । যামিনী যে বাপকে পাঠানোর জন্য টাকা আদায় করে সম্প্রতি এটা সত্যপ্ৰিয় । cत्रिद्ध श्विाgछ । টাকা আদায় করিবার উপায় থাকিলে, তা সে স্ত্রীর উপর চাপ দিয়াই 44