পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

T ব্যবসার একটি সমস্যার মত ব্যাপারটাকে মনের মধ্যে নাড়াচাড়া করিতে করিতে কয়েক দিনের মধ্যেই খুব ভাল একটি সমাধান আবিষ্কার করিয়া ফেলে। ব্যাপারটা তো মূলতঃ এই । মেয়েকে সুখী করার ভার সে জামাই-এর উপর ছাড়িয়া দিয়াছে এবং সেজন্য খরচ করিয়াছে অনেক টাকা । তার মেয়েকে সুখী করাব দায়িত্বটা জামাই-এর । জামাই যদি কাজটা না পারিয়া থাকে, তাকে বুঝাইয়া দেওযা দরকার দায়িত্বটা সে পালন করিতে পারে নাই । সেই সঙ্গে এটাও বুঝাইয়া দেওয়া দরকার, দায়িত্বটা ভালভাবে পালন না করিলে তার নিজের অবস্থাটাও সুবিধা দাড়াইবে না । অনেক কৰ্ম্মচারী আর এজেণ্টের ভোতা মাথায় এই জ্ঞানটুকু ঢুকাঠীয়া দিয়া অনেক দায়িত্বপূর্ণ কঠিন কাজ সে করাইয়া নিয়াছে । BLD DDY BKS DBDBD SB BBD D BDD SDBB DDD একটু আশ্চৰ্য্য হইয়া যায়। একদিন যামিনীকে ডাকিয়া বলে, “বাবা, তোমার মনের অবস্থাটা বড় খারাপ দেখছি। তোমার মুখ দেখে যোগমায়ার মুখখানাও সব সময় শুকিয়ে থাকে। তা তুমি এক কাজ কর, ক’দিন বাপমা’র কাছে থেকে এসে গে। আজকেই চলে’ যাও, এইবেল, এইমাত্ৰ-জিনিষপত্র থাক ৷” যামিনী আমতা আমতা করিয়া বলিদার চেষ্টা করে, “আজে, আমার মনের অবস্থা-” “পথের খরচ বাবদ এই চারটিাকা দিলাম-গাড়ীভাড়া তিনটাকা চোদ্ধ পয়সা, নয় ? মন সুস্থ না করে মানে, মনের অবস্থা না বদলে এসো না ।” এক ঘণ্টার মধ্যে জামাই বিদায় হইয়া গেল । জামাইকে তাড়াইয়া দেওয়া হইয়াছে ভাবিতে গেলে সকলের মাখা ԳՇֆ