পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনহৱতাৰ্লী নিজেকে যশোদার কেমন অপরাধী মনে হয় । মনে আর জোর পায়। না । যুক্তিতর্ক দিয়া মনকে বুঝাইয়া মনের জোর তো আর বাড়ানো भूध न । তাই, কেবল শ্রমিক বা যে তাকে ত্যাগ করিয়াছে তা নয়, সেও এক রকম ওদের ত্যাগ করিয়াছে। সত্যপ্রিয়, মিলের কেউ না আসুক, অন্য মিলের অনেকে মাঝে মাঝে যশোদার সঙ্গে দেখা করিতে আসিয়াছে, কেউ আসিয়াছে বিপদে পড়িয়া, কেউ আসিয়াছে কাজের সন্ধানে, কেউ আসিয়াছে নিছক দু’দণ্ড যশোদার সঙ্গে বসিয়া গল্প করিপাব জন্য । সকলে যে তাকে ত্যাগ কলে নাহি তার এতবড একটা প্ৰমাণও যশোদাকে কিন্তু খুসী করিতে পারে নাহি। সোজাসুজি ক'ড সুরে জিজ্ঞাসা কৰিব পাছে, “কি চাই ?” কি চাই আদ্ধে কটা শুনিতে না শুনিতে বলিয়ছে, “আমি পারব না । আমার কাছে এসেছি কেন ?” মনটা যশোদার সত্যিই একটু বিগড়াইয়া গিয়াছে। তবু মনের কোণে হয়তো যশোদাবি ক্ষীণ একটু আশা বা ইচ্ছা ছিল, একদিন আদার পাডাতে তার কুলি-মাজু1েরা বাসা পাধিবে, আবাব সে দু’বেল ওদের ভাত রাপিয়া খাওয়াইবে । কিন্তু রাজেনে বা প্ররোচনায় বাড়ীতে ভদ্র ভাড়াটেদের আনিবার পর সে-আশাও যশোদার ঘুচিয়া গিয়াছে । তাছাড়া, যে পরিপাক্তন ঘটিয়াছে তা বা বা ডার চারিদিকের সহরতলীতে, তাতে কুলি-মজুরদের এখানে "আর বাস করাও বোধ হয় সম্ভব নয় । চারিদিকের সাহারে ভদ্র আবহাওয়ার চাপে বেচারীদের দম আটকাইয়া আসিবে, এক মুহূৰ্ত্তের স্বস্তি থাকিবে না । No