পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহুৱতলী আনন্দ পাওয়ার নিষ্ঠুরতা এটা নয়, এ নিষ্ঠুরতা জ্ঞান আর অভিজ্ঞতার, প্ৰতিক্রিয়া যে প্ৰতিক্রিয়ায় মনের কোমলতা আর ভাপ্রবণতা গোড়া শুদ্ধ উপ ডাইয়া যায়। সাধারণ আলাপেই এটা বেশ বোধগম্য হয় । তাছাড়া, যে ভাবে বিপুবাবু হাসে তার মধ্যেও তার মনের এ পরিণতির প্ৰমাণ স্পষ্টই দেখিতে পাওয়া যায় । এ রকম তাসির সঙ্গে যশোদার পরিচয় আছে, তার পবিচিত আরেক জন লোক এভাবে হাসিত । সমস্ত ব্যাপারে যারা কৌতুক বোধ করে, মম্মান্তিক বেদনায় কঁাদিবার সময়ও একজনকে খাপছাড়া মুখোব ভঙ্গি করিতে দেখিয়া যাদের হাসি পায়, কেবল তারাই এ রকম হাসি হাসিতে পারে । এরকম লোককে কি দু এক বিস্ময়ে নিশ্চিন্ত মনে বিশ্বাস করা যায় । এদের অব ঘাই থাক, কিছুমাত্র স্বাৰ্থপত্তি থাকে না । পরের জন্য বেশী মন না। কঁাদুক, নিজের ভাবনাটা এব। একেবারেই ভাবে না । সেদিন খাওয়ার সময় সুব্রতা বলিল, “আমরাও আজ এক জাগায় सछि fि ।” অজিত তাকে আজ সিনেমায় নিয়া যাইবে । খবরটা দেওয়ার সময় সুব্রত, মুচকি মুচকি তাসে । যশোদাও হাসে । "আমায় নিয়ে যাবে না ?” “তুমি না কোথায় যােচ্ছ আজকে ?” “ও, তাই আজি তোমরা সিনেমায় যাচ্ছে, আমায় ফাকি দেবার সুযোগ পেয়ে ।” বলিয়া প্ৰচণ্ড শব্দে যশোদা হাসিতে থাকে। এই সামান্য পরিহাসে ԵԳ