পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সনহৱতাসী এত জোরে হাসিবার কি ছিল সেই জানে, হাসিটা বিধুবাবুর মত হইতেছে খেয়াল করিয়া হঠাৎ সে থামিয়া যায়। তারপর সুব্রতা যে খবরটা দেয় সেটা একটু মারাত্মক। একজনের গাড়ীতে তারা সিনেমায় যাইবে, এদিকেই কোথায় সত্যপ্রিয় বলিয়া একজন মস্ত বড়োলোক থাকে, তার ছেলের গাড়ীতে । কবে যেন অজিত তার সঙ্গে কোন স্কুলে পড়িয়াছিল, হঠাৎ ক'দিন আগে দেখা হইয়া গিয়াছে। তারপর তাদের পরামর্শ হইয়াছে পরস্পরের বৌকে নিয়া আজ তারা একসঙ্গে সিনেমায় যাইবে, আলাপ পরিচয়ও হইবে, একটু আনন্দ ও করা হইবে । পাকা গিল্পীর মত মুখ করিয়া সুব্রতা বলিতে থাকে, “আমার কি আর সিনেমা-টিনেমায় যাওয়ার সখ আছে দিদি ? কি করব, বন্ধু বড় ধরেছে। ও কি বলছিল জানো দিদি ? বন্ধুপ বাপ নাকি বেীকে নিয়ে ছেলের কোথাও যাওয়া দু’চোখে দেখতে পারে না, ভীষণ চটে যায়। সেকেলে ভূত আর কি । বাপ নাকি কোথায় গিয়েছে। ক’দিনের জন্য, ছেলেও বেীকে নিয়ে খুব বেড়িয়ে বেড়াচ্ছে ।” মহীতোষকে যশোদা জানে, ছেলেটারবুদ্ধি একটু কঁচা । সকলে তাকে সেকেলে, গেয়ে আর অসভ্য মনে করে ভাবিয়া বড়ই মনের কষ্টে সে দিন কাটায় । বাহিরের লোকের সঙ্গে কথায় ব্যবহারে সে বিনঘের অবতার, যশোদার সঙ্গে পৰ্য্যন্ত এমন মুখ কঁচুমাচু করিয়া কথা বলে ষে দেখিলে হাসিও পায়, মমতাও হয়। রাতে ঘুমের মধ্যেও হয়তো বাপের ভয়ে মহীতোষ চমকিয়া জাগিয়া ওঠে, কিন্তু বাড়ীতে যারা আশ্রিত ও আশ্ৰিতা, অফিসে ও কারখানায় যারা জীবিকার প্রত্যাশী। তাদের সঙ্গে ९छद्र दादर्शीद्र しッPし*