পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুনহয়তলী বৌটি কে এবং এখানে গাড়ীর মধ্যে এক কেন বসিয়া আছে। যশোদা আগেই অনুমান করিয়াছিল । কাছে আসিতে মহীতোশের বেী বলিল, “ওঁকে একটু শীগগির পাঠিয়ে দেবেন। চাদের-মা ? “তা দিচ্ছি, কিন্তু তোমায় এক বসিয়ে রেখে কি বলে’ নেমে গেলে বাছা ?” “কথা কইতে কইতে এগিয়ে গেছেন।” বাড়ীর দরজার সামনে দাড়াইয়া মঙ্গীতোষ, অজিত আর সুব্রতার মধ্যে তখনো কথা চলিতেছিল। অজিত বা সুব্রতা যে মঙ্গীতোষকে আটকাইয়া রাখে নাই, মঙ্গীতোষ দাডাইয়া কথা বলিতেছে বলিয়াই দু’জনে তারা ভিতরে যাইতে পারিতেছে না বুঝিতে যশোদার দেরী হইল না । ছেলেমানুষ তিনজনেই এবং মঙ্গীতোষেব বুদ্ধিটা সত্যই একটু কঁচা । সুব্রতাই বা কি, এদিকে তো মুখে তার কথা ছোটে তুবউীর মত, ভদ্রতা বজায় রাখিয়াই একটু ইঙ্গিতেও কি সে মঙ্গীতোষের মনে পড়াইয়া দিতে পারিল না, গলির মোড়ে বৌটাকে সে এক ফেলিয়া আসিয়াছে ? যশোদাকে দেখিয়া মহীতোষ বলিল, “কেমন আছেন চাদের-মা ? আজ এদের নিয়ে-” “এক বসে’ থাকতে বৌমার ভয় করছে।” ‘ऊँ ? ७, हैंji, शांश् ।' বাড়ীর ভিতরে ঢুকিয়া যে যার ঘরে কাপড় ছাড়িতে গেল। ধনঞ্জয় যশোদার বিছানা দখল করিয়া শুইয়া আছে । “তুমি এখানে যে ?” GINS