পাতা:সাধুচরিত.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট tr:S. নাই । বন্ধুগণের সকল কাৰ্য্যেই তাহার প্রাণের সহানুভূতি ছিল, কিন্তু তিনি পুরোবৰ্ত্তী হইয়া বহুজনসমক্ষে বক্ততা করিতে চাহিতেন না । একদিন “মাদকদ্রব্যনিবারিণী” সভায় হাইকোর্টের বিচারপতি স্বৰ্গীয় শম্ভুনাথ পণ্ডিত মহাশয় সভাপতি হইবেন, বিজ্ঞাপন প্রচারিত হইল । নিৰ্দ্ধারিত সময়ের পূর্বেই সভাস্থল লোকে পরিপূর্ণ হইল : ক্রমে সভারম্ভের সময় উত্তীণপ্রায় হইয়া গেল, কিন্তু শম্ভুনাথ আসিলেন না । উদ্যোগ কৰ্ত্ত। স্বগীয় প্যারিচরণ সরকার মহাশয় চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন হইয়। সমবেতজনম গুলী মধ্যে সভাপতি হুইবার উপযুক্ত ব্যক্তির অন্বেষণ করিতে লাগিলেন । প্যারিচরণ দেখিলেন, সর্ববশেষ পংক্তিতে বিদ্যাসাগর মহাশয় ও রামতনু বাবু দাড়াইয়া আছেন । অমনি ধরিয়া ফেলিলেন । বিদ্যাসাগর ও লাহিড়ী মহাশয় উভয়েই আপনাদিগের অনুপযুক্ততা জানাইলেন, কিন্তু প্যারিচরণ কি ছাড়িবার পাত্র ? যাহা হউক, গোলমাল হইতে হইতে শম্ভুনাথ উপস্থিত হইয়া সকলেরই লজ্জানিবারণ করিলেন । যদিও পার্থিব হিসাবে কোন বিশেষ কার্য্যের জন্য রামতনুর যথেষ্ট খ্যাতি ছিল না, তথাপি ভঁtহার সমকালবৰ্ত্তী এবং পরবত্তী ব্যক্তিবর্গের উপর তাহার অসাধারণ প্রভাব ছিল । তিনি কখনও যশঃ প্রার্থী হইয়। কোন কৰ্ম্ম