পাতা:সাধুচরিত.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা । 9 ইহার যাথার্থ্য উপলব্ধি করিতে পারি। তিনি আজীবন শিক্ষাদান কার্য্যে ব্ৰতী ছিলেন । বিদ্যাথিগণের কোমল হৃদয়ে স্থশিক্ষার বীজের সহিত পবিত্রতা সত্যনিষ্ঠা এবং ভগবস্তুক্তির বীজ বপন করিতে তিনি সতত যত্নশীল ছিলেন । বালকগণের অন্তঃকরণে সৎপ্রবৃত্তি জন্মানই র্তাহার জীবনের প্রধান কাৰ্য্য ও লক্ষ্য ছিল । অসত্য কে এবং অন্যায়কে তিনি অস্তরের সহিত ঘৃণা করিতেন । যদিও বহুদিন হইল তিনি পরলোকগমন করিয়াছেন, তথাপি আজিও তাহার পুণ্যজীবনের অমৃতময় প্রভাবে বাঙ্গালী কৰ্ত্তব্যে, ধৰ্ম্মে এবং নীতিতে অনুপ্রাণিত হইতেছে । ঝটিকাসংক্ষুব্ধ অন্ধকারময় সাগরবক্ষে পোতাধ্যক্ষ যেমন দুরস্থিত আলোকস্তস্তের ক্ষীণ আলোকরশ্মি দেখিয়া পোতের গতি নিয়ন্ত্রিত করে, তেমনি অশেষ দুঃখদুর্দশাপূর্ণ ংসার-সাগরে মানুষ যখন নানা বিপদের অাবৰ্ত্তে পড়িয়া জ্ঞানহারা হইয়া যায়, তখন সাধুপুরুষদিগের জীবনের ঘটনাবলী আলোচনা করিয়া প্রাণে বল পায় ; কেমন ধীর স্থির ভাবে তাহারা সকল জ্বালা-যন্ত্রণ নীরবে সহ্য করিয়াছে ম, তাহ চিস্ত করিতে করিতে প্রাণে অt শার সঞ্চার হয়, ক্রমে কষ্ট সহ করিবার শক্তি জন্মে। সংসারে সর্ববাপেক্ষ গুরুতর শোক পুত্ৰশোক, উপযুক্ত পুত্রের