পাতা:সাধুচরিত.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

#3 সাধুচরিত । অকালমৃত্যু অপেক্ষ মানুষের জীবনে কষ্টকর ঘটনা বোধ হয় আর কিছুই নাই। জ্যেষ্ঠপুত্র কৃতী নবকুমার এবং তাহার কিয়দিন পূর্বেব দ্বিতীয়া কন্যা অশেষগুণসম্পন্ন শোভন ইন্দুমতীর অকালমৃত্যুতে রামতনুবাবু কিরূপ ধীর এবং অবিচলিত ছিলেন, ভাবিলে অবাক হইতে হয় । এতস্তিন্ন জীবনে তিনি বহু দুঃখ, শোক, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠ সহ করিয়াছেন, কিন্তু প্রকৃত ঋষির স্থায় একদিনের তরেও র্তাহার নিৰ্ম্মল হৃদয় ভগবানের প্রতি অবিশ্বাসের ছায়াপাত্তে মলিন হয় নাই । এক্ষণে ব্রাহ্মগণের নাম আছে, প্রতিপত্তি আছে, স্বতন্ত্র সমাজ আছে, কিন্তু এই দৃঢ়চিত্ত পুরুষ যখন ভগবানের প্রতি দৃঢ়বিশ্বাসে প্রাণ সবল করিয়া উপবীত পরিত্যাগ করিয়াছিলেন, তখন ইহার কিছুই ছিল না । রামতনুবাবুর জীবনের মন্ত্র ছিল,—“যাহা সৎ, তাহাই কৰ্ত্তব্য, ফলাফল ভগবানের।” বন্ধুবৰ্গ ও ছাত্রগণ র্তাহার নিৰ্ম্মল চরিত্রের বিশেষ পক্ষপাতী ছিলেন ; তাহারাই বিপদের সময় নানারূপে তাহার যন্ত্রণা লাঘব করিতে সযত্ন হইতেন । কিন্তু ভগবানে যিনি আত্মসমপণ করিয়াছেন, পার্থিব দুঃখকষ্টে কি তাহাকে বিচলিত করিতে পারে ? জলযানস্থিত কম্পাসের কাটা, প্রবল তরঙ্গাভিঘাতে তরণী নানা দিকে ঘুরিলেও যেমন উত্তরদিকই নির্দেশ