পাতা:সাধুচরিত.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধুচরিত । هي বলিয়া উঠিলেন, “মহাশয়, আপনার চাকরটা ত ভারি বেয়াদব দেখিতেছি ।” লাহিড়ী মহাশয় ব্যস্ত হইয়। বলিলেন “কেন, কেন ?” ভদ্রলোকটি বলিলেন, “আপনি এতবার ডাকিতেছেন, চাকরটা তবু আসিল না । আমার চাকর হ’লে আমি ঘা কতক দিয়ে দি, তা যাই বলেন ।” ঋষিপ্রতিম লাহিড়ী মহাশয় ধীরে ধীরে অতি মধুরবচনে বুঝাইয়া বলিলেন, “দেখুন, ও না আসাতে আমার বিশেষ কোন অসুবিধা হয় নাই ; তবে বৃথা কেন মন খারাপ করিব ? ওকে গালাগালি দিলে আমার কি লাভ হইবে, মাঝে থেকে মনটা খারাপ হইয়া যাইবে । সংসারে সকল কাজের ভিতরে, সকল দুঃখ-দুর্দশা-ঝঞ্ঝাটের মধ্যে থাকিয়াও যিনি মন ভাল রাখিতে পারেন, তিনিই সাধু। একেবারে সাধু না হ’তে পারি, যতটা পারি, তাহাই লাভ * আগস্তুক ভদ্রলোকটি বিশেষ অপ্রতিভ হইলেন । বাস্তবিক, লাহিড়ী মহাশয়ের জীবনের ঘটনাসমূহ পৰ্য্যালোচনা করিলে মনে হয়, তাহার সমগ্র শক্তি এবং চেষ্টা তিনি সাধুত্ব-লাভের জন্যই নিয়োজিত করিয়াছিলেন । রামতনু লাহিড়ী মহাশয়ের জীবনের এক অতি প্রধান বিশেষত্ব ঈশ্বরের মঙ্গলময়ত্বে বিশ্বাস এবং ফলাকাঙক্ষণত্যাগ। র্তাহার মনে দৃঢ় ধারণা ছিল, ভগবান যাহা করেন,