পাতা:সাধুচরিত.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাল্যজীবন এবং শিক্ষাবস্থা । >> প্রীতমনে তাহাতেই জীবনযাত্রা নির্ববাহ করিতেন । পিতা রামকৃষ্ণ ও মাতা জগদ্ধাত্রী দেবীর মনের বলের বহু কথা প্রচলিত আছে। জ্যেষ্ঠপুত্র মুমুমু কেশবচন্দ্র গঙ্গাযাত্রাকালে পিতার পদধূলিপ্রার্থী হন । রামকৃষ্ণ সেকালের বিগতস্পৃহ ঋষিদের মত প্রশান্তচিত্তে স্বৰ্গগামী পুত্রকে পদধূলির সহিত প্রাণের আশীৰ্ববাদ প্রদান করিলেন । কেশবচন্দ্র আত্মীয় ও স্বজনগণের নিকট শেষবিদায় লইয়া ভাগীরথীসলিলে দেহত্যাগ করিতে চলিলেন। বাহকগণ পান্ধী উঠাইয়া নবদ্বীপাভিমুখে চলিল, সমাগত পুরুষ ও রমণীগণ অনেকেই কাদিতে লাগিলেন, কিন্তু সাধু স্থিরধী মহাপুরুষ রামকৃষ্ণ অটল রহিলেন । র্তাহার সৌম্য, প্রশাস্তগস্তীর বদনমণ্ডলে স্বৰ্গীয় আভা প্রকটিত হইয়া উঠিল । এ দৃশ্য যে দেখিল সেই মুগ্ধ হইল, যে শুনিল সেই আশচর্য্যাম্বিত হইল । জগদ্ধাত্রীর পিতৃকুল সদাচারপরায়ণ, সত্যনিষ্ঠ ও পরোপকারী বলিয়া প্রসিদ্ধিলাভ করিয়াছিলেন । পিতার একমাত্র কন্যা, তিন ভ্রাতার অগ্রজা জগদ্ধাত্রী রূপে গুণে গৃহের শ্ৰীস্বরূপ ছিলেন । র্তাহার পিতার বহু ধনসম্পত্তি থাকিলেও তিনি গরীব শ্বশুরগুহুেই বাস করিতেন । তৎকালে কুলীন জামাতৃগণ প্রায়ই শ্বশুরালয়ে অবস্থিতি করিতেন । সুতরাং ইচ্ছা করিলে জগদ্ধাত্রী পিতৃগৃহে