পাতা:সাধুচরিত.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাল্যজীবন এবং শিক্ষাবস্থা । ) { মনু বাক্যের নিয়মে পঞ্চম বৎসরে রামতনুর হাতে খড়ি হইল। স্বগ্রামস্থ দেবীপ্রসাদ চৌধুরী মহাশয়ের গৃহে এক পাঠশালা ছিল, সেইস্থানে বালকের পাঠারস্ত হইল। অন্যান্য বালকগণের ন্যায় রামতনু কখনও কখনও গুরু মহাশয়ের প্রহারের ভয়ে পাঠশালা হইতে পলায়ন করিয়াছেন বটে, কিন্তু তিনি বরাবরই মনোযোগী ও শ্রমশীল ছাত্র ছিলেন । বালকের বয়োবৃদ্ধি হইতে লাগিল আর পিতা রামকৃষ্ণ তাহার ভবিষ্যৎ ভাবিয়া ব্যাকুল হইতে লাগিলেন । সে সময়ে কৃষ্ণনগর-সমাজের অবস্থা অতি ভয়ানক ছিল । যে সকল গুণে মামুষের মনুষ্যত্ব, তৎকালে কৃষ্ণনগর-সমাজে তাহার বিলক্ষণ অভাব ছিল ; তাই রামকৃষ্ণ পুত্রের জন্য বিশেষ উদ্বিগ্ন হইয়া উঠিলেন । এমন সময়ে আশার একটি ক্ষীণরশ্মি রামকৃষ্ণের নেত্রপথে পতিত হইল । জ্যেষ্ঠপুত্ৰ কেশবচন্দ্র তখন আলিপুর জজ আদালতে কৰ্ম্ম করিতেন । পিতা রামতনুকে কেশবের বাসায় প্রেরণ করিবার জন্য ব্যগ্র হইলেন । কেশবচন্দ্র পিতামাতার আগ্রহাতিশয় দর্শনে দ্বাদশবৎসরবয়স্ক রামতনুকে নিজবাসায় লইয়া গেলেন । কেশবচন্দ্র ভ্রাতাকে তাহার চেতলার বাসায় অনিয়া তাহার শিক্ষার বন্দোবস্ত করিতে ব্যগ্র হইলেন । প্রথমে কোন সুযোগ উপস্থিত হইল না । নিজে অবসর সময়ে