পাতা:সাধুচরিত.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষকতা ও সমাজসংস্কার । রামতনু প্রকৃত স্বদেশহিতৈষী ছিলেন । তিনি দেশের মঙ্গলের জন্য আত্মস্থখ-বিসর্জনে পরামুখ ছিলেন না । তাই তিনি বহুবিধ লোভনীয় চাকরী উপেক্ষা করিয়া শিক্ষকের অর্থশূন্ত কষ্টময় বৃত্তি স্বেচ্ছায় বরণ করিয়াছিলেন । আজকাল বঙ্গদেশে যাহার অন্য কোনও দিকে চাকরীর সুবিধা না হয়, তিনি শিক্ষক হইয় থাকেন । এফ এ বা বি এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্ৰগণ যখন ত্রিশঙ্কুর স্যায় আইনের আকাশে অবস্থিত হন, তখন শিক্ষকতাই তাহীদের একমাত্র গতি হয় । নবোদ্ভিন্নপক্ষ পক্ষী যেমন নীড়ের উপর বসিয়া চারি দিকে লোলুপদৃষ্টি নিক্ষেপ করে, তেমনি এই সকল শিক্ষক ও এক চাকুরীতে বসিয়াই চারি দিকে অন্য চাকরীর সন্ধান করিতে থাকেন। এক্ষণে শিক্ষক নিযুক্তিকালে দুই বৎসরের প্রতিশ্রুতি লিখিয়া লইতে হয় । শিক্ষকতা ক্রমে ক্রমে কি শোচনীয় দশাতেই উপনীত হইয়াছে ! মাসিক ত্রিশ টাকা মাত্র সম্বল করিয়া তিন ভ্রাতা একত্র থাকিতেন । এতদ্ভিন্ন অtশ্রয়ার্থী যে কেহ আসিত, লাহিড়ী মহাশয় তাহাকেই আশ্রয় দিতেন । তিনি এমনি মিতব্যয়ী ছিলেন যে, ঐ স্বল্পসংখ্যক মুদ্র কয়েকটি হইতে আপনাদের খরচ বাদে কিছু কিছু পিতামাতাকে পাঠাইতেন,