পাতা:সাধুচরিত.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ー&ミ সাধু-চরিত । এবং বিপন্ন ও নিরাশ্রয় ব্যক্তিদিগের জন্যও কিছু ব্যয় করিতেন । এই কথা শুনিয়া আজিকালি অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করিবেন, কিন্তু ইহা প্রকৃত কথা । এই সভ্যতার যুগে বহুবিধ অনাবশু্যক বিলাসোপকরণের গুরুভারে বাঙ্গালী প্ৰপীড়িত। এক্ষণে চারি দিকেই কেবল “অভাব অভাব” ধবনি । বাঙ্গালী আর পরের জন্ত চিত্ত করিবার অবকাশ পায় না । জীবনসংগ্রাম এমন কঠোর হইয়া পড়িয়াছে যে, তাহার সমগ্ৰ শক্তি ও চেষ্টা নিজের উদরপূরণেই সম্যক ব্যয়িত হুইয়া যায়। বাঙ্গালী ছোট বড় সকলেই সমানরূপ দায়গ্রস্ত । তৎকালে এক জন কৃতী হইলে গ্রামের নিরন্ন দশজন তাহার দ্বার প্রতিপালিত হইত । লাহিড়ী মহাশয় ত্রিশ টাকা বেতন সম্বল করিয়া যত লোকের অন্নের সংস্থান করিয়া গিয়াছেন, এক্ষণে শত মুদ্রা মাসিক অীয়েও তাহt করা সম্ভবপর নহে । এই সময়ে তাহার গৃহে যাহারা থাকিতেন, লাহিড়ীমহাশয় প্রত্যেকের তত্ত্বাবধান করিতেন । প্রত্যেক ব্যক্তির স্থখ ও সুবিধার জন্য তিনি ব্যস্ত হইতেন । র্তাহার ভ্রাতা কালীচরণ তখন মেডিক্যাল কলেজে অধ্যয়ন করেন । একবার পরীক্ষার অব্যবহিত পুর্বের্ব র্তাহার চক্ষুর পীড়া হয় । ডাক্তারগণ পড়িতে একবারে নিষেধ করিয়া দিলেন । কালীচরণ বড়ই ক্ষুণ্ণ ও দুঃখিত হইলেন ।