পাতা:সাধুচরিত.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষকতা ও সমাজসংস্কার । ভালবাসা ও প্রীতির আধার সেই লক্ষী-স্বরূপিণী মাতা যখন মৃত্যুশয্যায় শয়ান হইলেন, তখন রামতনু উন্মত্তের ন্যায় মাতৃসেবা করিতে লাগিলেন । র্তাহার আহার নিদ্রা রহিত হুইল । দি্বারাত্রি জননীর শয্যাপাশ্বে যাপন করিতেন ; প্রাণপণ করিয়া তাহাকে বাচাইতে বদ্ধপরিকর হইলেন । কিন্তু মানুষের চেষ্টা কবে সর্ববনিয়ন্ত ভগবানের নিয়ম লঙ্ঘন করিতে পরিয়াছে ? কাল পূর্ণ হইয়াছিল, জননী মরধাম পরিত্যাগ করিয়া চিরানন্দ লোকে প্রস্থান করিলেন । রামতনু মাতৃশোকে চারি দিক অন্ধকার দেখিলেন । কিন্তু সময় বড় সুচিকিৎসক, কালে সব সহ্য হইয়া যায় । কাল ধীরে ধীরে পদ্মহস্ত বুলাইয় গভীর বেদনার চিহ্ণটুকু পৰ্য্যস্ত বিলুপ্ত করিয়া ফেলে । কালে রামতনুরও শোকবেগ প্রশমিত ভইল । ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দ বঙ্গে শিক্ষা-বিস্তারের ইতিহাসের এক অতি স্মরণীয় বৎসর । এই শুভ বৎসরে বঙ্গদেশে ইংরাজি, শিক্ষা প্রথম প্রবৰ্ত্তিত হয় । ১৮১৩ খৃষ্টাব্দে বঙ্গে শিক্ষার উন্নতির কল্পে গবর্ণমেণ্ট এক লক্ষ মুদ্র মঞ্জুর করেন । কোন ভাষায় সাধারণ শিক্ষা প্রচলিত হইবে, ইহা লইয়া শিক্ষাসমিতির সভ্যগণের মধ্যে মতভেদ উপস্থিত হয় । কেহ বলিতে লাগিলেন, ভারতের প্রাচীন শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ, বিদ্যালয়াদি স্থাপন পূর্ববক