পাতা:সাধুচরিত.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষকতা ও সমাজসংস্কার । ·මේ) কথা বলিতে লাগিলেন । হিন্দুকলেজের ছাত্রগণ সকলেই ডিরোজি ও প্রভূতি শিক্ষকগণের শিক্ষায় চিস্তা ও কাৰ্য্য বিষয়ে একান্ত স্বাধীনভাবাপন্ন হইয়াছিলেন । তাহারা সমাজসংস্কারের নামে অনেক সময়ে সমাজের প্রতি অযথা আক্রমণ করিতেও পশ্চাৎপদ হইতেন না । তাহার। শিখিয়াছিলেন, “যাহাই পুরাতন তাহাই মন্দ, তাহাই পরিত্যাজ্য, আর যাহাই নুতন তাঁহাই উত্তম, তাহাই কল্যাণকর এবং সর্ববথ অবলম্বনীয় * প্রাচীন সমাজের প্রতি সহানুভূতির অভাব হেতু তাহারা শীঘ্রই সীমা অতিক্রম করিয়া গেলেন, এবং জনসাধারণের নিকট র্তাহীদের সংস্কারক-মুৰ্ত্তি অপেক্ষা সংহারকের মুৰ্ত্তিই অধিকতর স্পষ্টরূপে প্র কটিত হইল । এই সকল কারণে কৃষ্ণনগরে উদারমতাবলম্বী যুবকদল বিশেষ অপ্রিয় হইয়। উঠিলেন । “ক্ষিতীশবংশাবলী”র প্রণেতা স্বৰ্গীয় দেওয়ান কাৰ্ত্তিকেয় চন্দ্র রায় মহাশয় লিখিয়াছেন, —-কলিকাতা হইতে একবার বাবুকালীকৃষ্ণ মিত্র কৃষ্ণনগরে গমন করিলে তাহার সম্বৰ্দ্ধনার জন্য আনন্দবাগে বনভোজনের আয়োজন হয় । তাহাতে রামতনু বাবু, তাহার ভ্রাতৃদ্বয়, দেওয়ান মহাশয়, বামাচরণ চৌধুরী প্রভূতি কতিপয় যুবক অগ্রণী ছিলেন । বনভোজনের পরদিবস এক কুচক্রী ব্যক্তি প্রচার করিয়া