পাতা:সাধুচরিত.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধু-চরিত। اج نع۹ দিল যে, আনন্দবাগে বনভোজনে একটি গোবৎস হত্যা করা হইয়াছে । অপর এক ব্যক্তি এই ভয়ানক মিথ্যা কথাকে শাখাপল্লবিত করিয়া সাক্ষ্য দিল যে, সে দূর হইতে বৃক্ষশাখায় লম্বমান গোবৎসের দেহ দেখিয়া আসিয়াছে। রৌদ্র শুষ্ক অরণ্যে বৃক্ষসঙ্ঘর্ষজাত অনলকণা যেমন মুহূৰ্ত্তমধ্যে বনভূমি পরিব্যাপ্ত করে, তেমনি যুবকদলের প্রতি বিরুদ্ধভাবাপন্ন কৃষ্ণনগরবাসীর মধ্যে এক মুহুর্তেই কথাটা ছড়াইয় পড়িল । কেহ ইহার সত্যমিথ্যা অমুসন্ধান করিয়া দেখিলেন না, কিন্তু অতি ভয়ানক গোলযোগ লাগিয়া গেল । যেখানে সেখানে ঐ গোবৎসহত্যার কথা । বলা বাহুল্য, বনভোজনে নিহত ছাগদেহই দুষ্ট লোকের কল্পনার সাহায্যে এতটা স্তান্দোলনের কারণ হইয়াছিল । এই ঘটনায় এবং বিধবা-বিবাহ-সংক্রান্ত আন্দোলনে ও হাঙ্গামায় লাহিড়ী মহাশয়ের কৃষ্ণনগরে থাক। অসম্ভব হুইয়া উঠিল । তিনি চেষ্টা করিয়া ১৮৫১ খ.ষ্টাব্দের মার্চ মাসে বদলী হইলেন । এইবার ১৫০২ বেতনে হেডমাষ্টার হইয়া বৰ্দ্ধমান গমন করিলেন । বঙ্গদেশের প্রায় প্রত্যেক জিলার প্রধান নগরে গবর্ণমেন্টের একটি করিয়া এণ্ট,ান্স স্কুল আছে। এই সকল স্কুলের শিক্ষক মহাশয়গণ ইচ্ছা করিলে অনেক সময় এক স্থান হইতে অস্ত্যত্র বদলী হইতে পারিতেন । রামতনু