পাতা:সাধুচরিত.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষকতা ও সমাজসংস্কার । ●ጫ রামতনু বাবু যাহা করিতেন সর্ববাস্তঃকরণে করিতেন । মনে একরূপ মুখে অন্তরূপ, ইহা তাহার কখনও ছিল না । তিনি যাহা বিশ্বাস করিতেন, তদনুসারে কার্য্য করিতে যত্নশীল হইতেন । র্তাহার মাতৃশ্ৰাদ্ধের দিবস একটি বালক তাহাকে বিক্রপ করিল । বালক হাসিতে হাসিতে কথাটা বলিয়। চলিয়া গেল, কিন্তু কথাটা লাহিড়ী মহাশয়ের প্রাণের ভিতরে আঘাত করিয়৷ বহু অশান্তির স্থষ্টি করিল । উপবীত রাখিবেন কি না ভাবিতে লাগিলেন । সেই সময়ে আর এক ঘটনা ঘটিল । সেই বৎসর পূজার ছুটিতে তিনি রামগোপাল ঘোষ মহাশয়ের সহিত সাক্ষাৎ করিতে অভিলাষী হইয়া কতিপয় বন্ধুসহ নৌকাযোগে গাজীপুর যাত্র করেন । পথে নৌকার মুসলমান মাঝিদের রন্ধন করা অন্ন-ব্যঞ্জন আহার করিয়া একটা ভদ্রলোক সহস্তে বলিলেন, “আমরা মুসলমান মাঝিদের হাতে সকলেই খাইতেছি, আবার পৈতাটিও বেশ রাখিয়াছি ।” রামতনু বাবুর অস্তরে এতদিন ঘোর সংগ্রাম চলিতেছিল। আস্থা-শূন্ত হইয়া কোন বিষয়ে বিশ্বাসের ভান তিনি করিতে জানিতেন না । এই সামান্য একটি কথায় তিনি চিরদিনের মত উপবীত পরিত্যাগ করিলেন । হিন্দুসমাজ তাহার এই কাৰ্য্য কি ভাবে গ্রহণ করিবেন, আত্মীয় ও স্বজনবর্গ তাহার কি