পাতা:সাধুচরিত.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধু-চরিত। تسيانية শাস্তিবিধান করিবেন, হিন্দুসমাজ পরিত্যাগ করিয়া তাহার কি গতি হইবে, এসকল তাহার চিন্তা করিবার অবসর হইল না । তিনি মানসিক যন্ত্রণায় অধীর হইয়া ইহজন্মের মত উপবীত দূরে নিক্ষেপ করিলেন । এই ব্যাপার লইয়া কি বিষম আন্দোলন উপস্থিত হইয়াছিল, তাহা বলিয়া বুঝাইবার নহে । তাহার ধোপা, নাপিত বন্ধ হইল । দাস, দাসী তাহাকে ছাড়িয়া পলায়ন করিল। তিনি যেন সমাজের চক্ষে অতি ঘৃণ্য জীব হইয়া পড়িলেন । এই সময়ে তাহার পত্নীর ক্লেশের পরিসীমা রহিল না । ংসারিক কাৰ্য্যসমূহে এই মহিলাকে সাহাষ্য করিবার স্বামী ভিন্ন আর কেহই ছিলেন না । লাহিড়ী মহাশয় প্রশান্তচিত্তে সব নিন্দ, গঞ্জনা ও নিৰ্য্যাতন নীরবে সহ করিয়া সপত্নীক গুহ কাৰ্য্য নির্ববাহ করিতে লাগিলেন । লোকের কথায় পত্নী অনেক সময় আকুল হইয়া পড়িতেন, আবার দেবকল্প স্বামীর মধুর উপদেশে সাত্বনালাভ করিতেন । এই ঘটনায় কৃষ্ণনগরে বৃদ্ধপিতা নিষ্ঠাবান হিন্দু রামকৃষ্ণের মনঃকষ্টের সীমা রহিল না । তিনি রামতনুকে কিছুই বলিলেন না, নীরবে সমস্ত সহ করিলেন । এক বৎসর বর্দ্ধমান অবস্থানের পর রামতনু বাবু উত্তরপাড়া স্কুলের ছেড় মাষ্টার হইয়া আপিলেন । এখানে