পাতা:সাধুচরিত.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারিবারিক দুর্ঘটনা । &') বন্ধুগণের মধ্যে বোধ হয় রামগোপাল ঘোষ মহাশয়ের স্থায় তিনি হার কাহাকে ও ভালবাসিতেন না । রামগোপালও লাহিড়ী মহাশয়কে জ্যেষ্ঠ সহোদরের স্যায় মাস্য ও ভক্তি করিতেন । রামতনু বাবুর গুণরাশির মধ্যে বন্ধু-প্রীতি র্তাহার একটি অননুকরণীয় গুণ ছিল । তিনি আপনার স্থহদবগের প্রত্যেক কথাটি অভ্রাস্ত বলিয়া বিশ্বাস । করিতেন। এই স্বার্থচিন্তার দিনে বন্ধু, মিত্র, বা সখার কথা আর শুনিতে পাওয়া যায় না । দিমন ও পিথিয়াসের বন্ধুপ্রীতির অপূৰ্ব্ব কাহিনী এক্ষণে উপকথায় পরিণত হইয়াছে। মানুষ অপরের সুখের জন্য, অন্ততঃ দুঃখভারলাঘবের জষ্ঠ, প্রাণপণ করিতে পারে, এ কথা শুনিতেও সুখ । একদিন রামতনু বাবুর স্ত্রী তাহাকে বলিলেন, “সকলেই নানারূপ অলঙ্কার পরে, আমার কিছুই নাই । কাহারও বাড়ীতে যেতে হ’লে এমন খালি গায়ে যাওয়া যায় না ; তাহাতে পাঁচ জনে পাচ কথা বলে । আমাকে একজোড়া বালা গড়াইয়া দিতে হইবে।” লাহিড়ী মহাশয় দেখিলেন, কথাটা ঠিক ; ভাবিয়া চিন্তিয়া বালাজোড়া গড়াইয়া দেওয়া উচিত মনে করিলেন। পরদিবস প্রিয় বন্ধু রামগোপালের বাড়ীতে যাইয়া কথাটা বলিয়া আসিলেন । র্তাহার স্বর্ণকার দ্বারা বালা তৈয়ার করাইয়া দিতে অনুরোধ করিলেন । রামগোপাল বাবু সপ্তাহ পরে