পারিবারিক দুর্ঘটনা। 役毅 তিনি তখন চ পান করিতেছিলেন । বন্ধুর নিকট তিনি সুগায়কের পরিচয় পাইয়া খুব আহলাদিত হইলেন, কহিলেন, “আমাকে একটি গান শুনাইতে হইবে ।” লাহিড়ী মহাশয়ের কথা শেষ হইতে না হইতেই গায়ক মহাশয় মৃদুস্বরে স্থর আবৃত্তি করিতে আরম্ভ করিলেন । তাহার গুণগুণ শব্দ শুনিয়াই লাহিড়ী মহাশয় অত্যন্ত ব্যস্ত হইয়া কহিলেন, “মহাশয়, অনুগ্রহ করিয়া একটুকু অপেক্ষ করুন, আমি এখন ভগবানের নামকীৰ্ত্তন শুনিবার মত অবস্থাতে নাই ।” তখন চায়ের পাত্রগুলি স্থানান্তরিত করা হইল । রামতনু বাবু গললগ্নীকৃতবসনে উপবেশন করিয়া বলিলেন, “এইবার গান করুন ।” সঙ্গীত আরস্তু হইল । ভগবানের নামকীৰ্ত্তন শ্রবণ করিয়া ভক্তহীদ . উচ্ছসিত হইয়া উঠিল, ধীরে ধীরে বিন্দুর পর বিন্দু নয়নাশ্র শ্বেতশ্মশ্র বহিয়া পড়িতে লাগিল, তাহার মুখমণ্ডলে স্বৰ্গীয় অভিা প্রকটিত হইল । উপস্থিত সকলে এই অপূর্ব দৃশ্য দেখিয়া মুগ্ধ হইলেন । বাস্তবিক, এই সাধুপুরুষের সহিত একদিন র্যাহার যাপন করিবার সৌভাগ্য হইয়াছে, তিনি এ জীবনে আর তাহাকে ভুলিতে পারেন নাই । ১৮৭০ খৃষ্টাব্দের আষাঢ় মাসে কৃষ্ণনগরে লাহিড়ী মহাশয়ের চতুর্থ পুত্র বিনয়কুমারের জন্ম হয় । ইহার
