পাতা:সাধুচরিত.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধু-চরিত। عنواوينة তার মৃতদেহ ঐ ঘরে রয়েছে । তোমরা যেও না, দেখলে কষ্ট হবে।” সকলে ত অবাক । দুঃখে যাহারা অনুদ্বিগ্নমনা, সুখে যাহারা স্পহাশূন্ত, ভয়, আসক্তি, এবং ক্রোধ যাহাঁদের দূর হইয়াছে, তাদৃশ আত্মমননশীল মহাত্মারাই স্থিতপ্রজ্ঞ ॥ং ঘটনা-পরম্পরা দেখিয়া মনে হয় লাহিড়ী মহাশয়ও এই পদবীতে আরাঢ় হইবার যোগ্যতা লাভ করিয়াছিলেন । তাহার পারিবারিক দুর্ঘটনার কথা শ্রবণ করিয়া না ব্যথিত হয়, এমন মানুষ দেখা যায় না । পত্নী শোকে মুহমান, পুত্রকন্যাগণের কাতর ক্ৰন্দনে গৃহ আকুলীকৃত, বন্ধুবান্ধবগণের শোকের পরিসীমা নাই, কিন্তু লাহিড়ী মহাশয় প্রশান্ত ও ধীর । তিনি ঈশ্বরের মঙ্গলস্বরূপে এরূপ বিশ্বাস করিতেন যে, পুত্রকন্যা তাহার অমৃতময় ক্রোড়ে আশ্রয় লাভ করিয়াছে ভাবিয়া প্রাণে শান্তি অনুভব করিতেন । জ্যেষ্ঠপুত্রের মৃত্যুর পরদিবস প্রাতঃকালে র্তাহার গুণরাশি স্মরণ করিতে করিতে লাহিড়ী মহাশয় তাহার দৈনিক লিপিতে লিখিয়াছেন ঃ– “দুঃখেদ্ধমুদ্বিগ্নমনাঃ সুখেষু বিগতস্পৃহ: | ৰীতরাগভোগক্রোধঃ স্থিতধীমুনিরুচ্যতে ॥” গীতা, ২য় অঃ ৫৬ শ্লোক ।