পাতা:সাধুচরিত.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধু-চরিত। نتیb বহু অনুরোধেও লাহিড়ী মহাশয় আর একটি কথাও বলিলেন না । লাহিড়ী মহাশয় ষদিও অতি বিনীত ও শাস্তপ্রকৃতির লোক ছিলেন, তথাপি তাহার যথেষ্ট আত্মসম্মান জ্ঞান ছিল । ভাগলপুরে অবস্থিতিকালে তিনি একদা নিমন্ত্রিত হইয়া তথাকার কমিশনার মহোদয়ের আলয়ে উপস্থিত হন । বহু অজাতশাশ্র নব্য সিভিলিয়ানের মধ্যে পক্ককেশ রামতনু বাবুকে দেখিয়া একজন নবাগত যুবক সিভিলিয়ান বাঙ্গালী জাতির প্রতি কটাক্ষ করিয়া দুই এক কথা রামতনু বাবুকে গুমাইয়া দেন । লাহিড়ী মহাশয় এইরূপ বিনা কারণে স্বজাতির নিন্দ শ্রবণ করিয়া কিছুতেই সহ্য করিতে পারিলেন না । তিনি ও ঐ সাহেবকে দুই চারি কথা শুনাইয় দিলেন । তৎপরে কমিশনার মহোদয় মধ্যে পড়িয়া গোলযোগ মিটাইয়া দেন । এই ঘটনার পর প্রায় কুড়ি বৎসর অতীত হইয়া গেল । অশীতিপর বৃদ্ধ লাহিড়া মহাশয় একদিন গ্রেট ইষ্টারণ হোটেলের নিকট গাড়ীতে বসিয়াছিলেন, এমন সময়ে এক দীর্ঘাকৃতি ইংরাজ রাজপুরুষ রামতনু বাবুর গাড়ীর নিকট আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “মিষ্টার লাহিড়ী, আপনি কি আমাকে চিনিতে পারেন ?” লাহিড়ী মহাশয় বহু চেষ্টা করিলেন, কিছুতেই এই ভদ্রবেশধারী সাহেবটিকে চিনিতে