পাতা:সাবাইস বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাবাইস বুদ্ধি।
২৯

ছিলাম, তাহাকে সঙ্গে লইয়াই আমি পুনরায় চন্দননগরে গমন করিলাম।

 ঐ স্থানে গমন করিয়া সেই কর্ম্মচারী আমাকে ঐ স্ত্রীলোকটীর বাড়ী দেখাইয়া দিল। ঐ বাড়ীতে কেবল দুইজন মাত্র চাকরকে দেখিতে পাইলাম, কিন্তু তাহাদিগের মনিবকে সেইস্থানে দেখিতে পাইলাম না বা ব্রুহেম বা অপর কোন প্রকার গাড়ী বা ঘোড়া থাকিবার স্থানও সেই বাড়ীতে খুঁজিয়া পাইলাম না। অনুসন্ধানে জানিতে পারিলাম, তাহার গাড়ী ঘোড়া কিছুই নাই। কোন স্থানে যাতায়াত করিতে হইলে ভাড়াটিয়া গাড়ীর আশ্রয় অবলম্বন করিতে হয়। ঐ বাড়ীর চাকরদ্বয় বা সেই স্থানের অপর কোন লোক ঐ স্ত্রীলোকটীর নাম বলিতে পারিল না। সকলেই কহিল, উনি ঐ স্থানে মেমসাহেব নামে পরিচিত, তিনি বাঙ্গালীর কন্যা, কিন্তু থাকেন মেমসাহেবের ধরন,—কোনরূপ জাতি বিচার নাই। তিনি হিন্দু, কি মুসলমান, কি খ্রীষ্টান, তাহা এ পর্য্যন্ত কেহই স্থির করিয়া উঠিতে পারে নাই। যখন বাড়ীর ভিতর থাকেন, তখন তিনি হিন্দু স্ত্রীলোকদিগের ন্যায় পোষাক পরিধান করেন। বাহিরে যাইবার সময় সেই পোষাক রূপান্তর ধারণ করে। আহারীয় প্রস্তুত করিবার নিমিত্ত মুসলমান বাবুরচি নিযুক্ত আছে, অথচ যে সকল খাদ্য মুসলমানও স্পর্শ করে না, সেই সকল দ্রব্য ভিন্ন তাহার আহার হয় না। তিনি প্রায়ই ঘরে বসিয়া থাকেন না, প্রায়ই বাহিরে গমন করেন, কিন্তু কোথায় যে গমন করেন, তাহা কেহ বলিতে পারে না, এবং সময় সময় একাদিক্রমে দশ পনের দিবস পর্য্যন্ত প্রত্যাগমনও করেন না। এ পর্যন্ত কেহ তাঁহাকে কোনরূপ কার্য্য করিতে দেখে নাই,