পাতা:সাবাইস বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দারােগার দপ্তর, ১৩৯ সংখ্যা

প্রবর্ত্তিত আছে; কিন্তু সম্প্রদায় বিশেষের মধ্যে ভদ্র স্ত্রীলোকদিগের স্বাধীনতা এতদূর বাড়িয়া উঠিয়াছে যে, কোন স্থানে গমনাগমন করিতে হইলে কাহাকেও আর সঙ্গে লইবার তাহাদিগের প্রয়োজন হয় না; সভা-সমিতিতে একাকীই গমন করিয়া সহস্রাধিক পুরুষের মধ্যে অনায়াসেই গিয়া উপবেশন করেন। গড়ের মাঠে শত শত ইংরাজ বাঙ্গালীর ও অপরাপর দেশীয় পুরুষবর্গের মধ্যে একাকীই বায়ু সেবন করিয়া থাকেন। দেশীয় ও বিদেশীয়গণের বড় বড় দোকানে একাকিনী গমন করিয়া দ্রব্যাদি খরিদ বিক্রয় করিতেও কিছুমাত্র কুণ্ঠিত হন না।

 সকল সম্প্রদায়ের স্ত্রীলোকমাত্রেই পুরুষ অপেক্ষা মাননীয়া, সুতরাং যে স্থানেই তাঁহার গমন করুন না কেন, পুরুষ অপেক্ষা সকলেই তাহাদিগকে একটু মান্য করিয়া থাকে। তাহাদিগের কার্য অগ্রেই সম্পাদিত হয় ও তাহাদিগের কথায় অনেকেই স্বভাবতঃ বিশ্বাস করিয়া থাকেন। কারণ, আপনি দেখিবেন যে, পুরুষগণ যেরূপ মিথ্যা কথা কহিয়া থাকেন, স্ত্রীলোকগণ তাহা অপেক্ষা অনেক অল্প পরিমাণে মিথ্যা কথা বলিয়া থাকেন। সুতরাং পূর্ব্বকখিত নবঅবগুণ্ঠন উদঘাটিতা স্ত্রীলোকগণ যে কার্য্যের নিমিত্ত যে স্থানে গমন করেন, তাহাদিগের সেই কার্য্য সর্বাগ্রেই সংগিত হইয়া থাকে।

 যে স্থানে ভাল আছে, মন্দও সেইস্থানে আছে। যে স্থানে প্রকৃত দ্রব্য পাওয়া যায়, সেই স্থানেই অপ্রকৃত দ্রব্যের অভার থাকে না। মূলকথায়, যে স্থানে আসল—সেই স্থানেই নকল দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু আসল নকল চিনিয়া লইতে পারে, এরূপ জহুরি কয়জন আছে? মনুষ্য দেখিয়া তাহার হৃদয়ের