পাতা:সাবাইস বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
দারােগার দপ্তর, ১৩৯ সংখ্যা।

 “আমি যে সময়ে মেহেদিবাগানে বাস করিতাম, সেই সময় হইতে চারি পাঁচজন নিম্নশ্রেণীর লোকের সহিত আমার জানা শুনা হয়। সেই সময় আমার অবস্থা ভাল ছিল, কোন উচ্চ পদস্থ ব্যক্তির দ্বারা আমি প্রতিপালিত হইতাম, তাহারই সহিত ঐ সকল ব্যক্তি সময় সময় আমার বাড়ীতে আসিত। সেই সময় হইতেই তাহাদিগের সহিত আমার জানা শুনা হয় মাত্র; কিন্তু তাহাদিগের সহিত আমি কোনরূপে মিলিত হই। ইহার পরই আমার অবস্থার পরিবর্ত্তন ঘটে, আমিও মেহেদিবাগানের বাসা পরিত্যাগ করিয়া, চন্দননগরে আমার বাসস্থান স্থাপিত করি। ইহার কিছুদিবস পরেই উহারা আমার নিকট সেইস্থানে গমন করিয়া আমাকে নানারূপ প্রলোভিত করিতে আরম্ভ করে। প্রথমতঃ আমি তাহাদিগের প্রস্তাবে কোনরূপেই সম্মত হই নাই, কিন্তু ক্রমে তাহারা আমাকে নানা রূপ প্রলোভন দেখাইতে আরম্ভ করে। আমার অবস্থা সেই সময় ভাল ছিল না, অর্থিক কষ্ট আমাকে বিশেষরূপে সহ্য করিতে হইতেছিল, সুতরাং আমার নিতান্ত অনিচ্ছাস্বত্ত্বেও আমি তাহাদিগের প্রস্তাবে ক্রমে সম্মত হই। তাহাদিগের পরামর্শমতে আমি বড়বাজারের জহুরির দোকানে গমন করি, এবং কোন একজন এদেশীয় প্রধান কৌন্সিলের বনিতা বলিয়া পরিচয় প্রদান পূর্বক তাহার দোকান হইতে বাছিয়া বাছিয়া কতকগুলি বহুমূল্য অলঙ্কার গ্রহণ করিয়া, আমার স্বামীকে দেখাইয়া তাহার মূল্য প্রদান করিব বলিয়া উহা গ্রহণ করি। আমার বিশ্বাস ছিল, যাহাকে আমার স্বামী বলিয়া পরিচয় প্রদান করিয়াছিলাম, তাঁহার নাম শুনিয়া উহারা ঐ সকল অলঙ্কার অনায়সেই আমার