পাতা:সাবাইস বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাবাইস বুদ্ধি।
৪৫

হস্তে প্রদান করিবে, কিন্তু দেখিলাম, আমার সেই অভিসন্ধি কোনরূপেই কার্যে পরিণত হইল না। ঐ জহুরি বিশ্বাস করিয়া ঐ সকল অলঙ্কার কিছুতেই আমার হস্তে প্রদান করিল না। সে ঐ সকল অলঙ্কার তাহার একজন বিশ্বাসী কর্ম্মচারীর হস্তে প্রদান করিয়া তাহাকে আমার সহিত পাঠাইয়া দিল। আমি ব্রুহেম গাড়ীতে করিয়া ঐ দোকানে গমন করিয়াছিলাম, ভাবিয়াছিলাম, যে ব্যক্তি গহনা লইয়া আমার সহিত গমন করিতেছে, তাহাকে আমার গাড়ীতে আমার পার্শ্বে বসাইয়া লইব, এবং আমাদিগের ঈশ্বরদত্ত বাণ তাহার উপর নিক্ষেপ করিয়া তাহার হস্ত হইতে অলঙ্কারগুলি কোন গতিকে আত্মসাৎপূর্ব্বক তাহাকে গাড়ী হইতে নামাইয়া দিব, এই ভাবিয়া তাহাকে অপর গাড়ীতে আরোহণ করিতে না দিয়া আমার নিজের গাড়ীতে আমার পার্শ্বে বসাইয়া লইলাম। যাইবার সময় তাহাকে অনেক রূপে চেষ্টা করিয়া দেখিলাম, কিন্তু কোনরূপ প্রলোভনেই তাহাকে ভুলাইয়া অলঙ্কারগুলি হস্তগত করিতে সমর্থ হইলাম না। এখন অনন্যোপায় হইয়া সেই সকল লোক যেখানে আমার অপেক্ষায় বসিয়াছিল, সেইস্থানে গিয়া উপস্থিত হইলাম।

 আমি। সেই স্থানটা কোথায়?

 স্ত্রীলোেক। আলিপুরের জজসাহেবের কাছারির পূর্বদিকে যে স্থানে হেষ্টিংস হাউস নামক একটা প্রকার বাড়ী জঙ্গলের ভিতর খালি অবস্থায় পড়িয়াছিল, সেইস্থানে। আজকাল ঐ স্থানের যেরূপ অবস্থা দেখিতেছেন, তখন ঐ স্থানের অবস্থা সেই রূপ ছিল না। এখন যে একটী নূতন রাস্তা বাহির হইয়া ঐ স্থানের অবস্থা পরিবর্তন করিয়া দিয়া বড় বড় ইংরাজদিগের বাস-