পাতা:সাবাইস বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাবাইস বুদ্ধি ।

উপাদান বাছিয়া লইতে সমর্থ হয়, এরূপ লোক সহজে কয়জন দেখিতে পাওয়া যায়।

 রাত্রি ১২টার পর আমি বড়বাজারের ভিতর দিয়া আসিতেছি। দেখিলাম, একথানি জহুরির দোকান সেই সময় ভিতর হইতে বন্ধ, কিন্তু দোকানের ভিতর আলো জ্বলিতেছে। ঐ দোকানখানি আমি পূর্ব্ব হইতেই জানিতাম, ও ঐ দোকানের অধিকারীর সহিত আমার পরিচয়ও ছিল। ইতিপূর্বে ঐ দোকান হইতে কয়েক সহস্রমুদ্রা মুল্যের জহরত চুরি হইয়াছিল। ঐ চুরি মোকদ্দমার অনুসন্ধান আমি করিয়াছিলাম, চোর ধৃত ৩ অপহৃত জহরতের পুনরুদ্ধারও হইয়াছিল। সেই সময় হইতে আমি ঐ জহুরির সহিত পরিচিত। রাত্রি ৯টার পর ঐ দোকান খোলা থাকে না, দোকানের একটা ব্যতীত সমস্ত দরজা ভিতর হইতে বন্ধ করিয়া দেওয়া হয়। অবশিষ্ট দরজাটীতে কেবল কয়েকটা তালা বাহির হইতে বদ্ধ থাকে। দোকানের ভিতর লোকজন কেহই থাকে না, পুলিসের অনুকম্পার উপর ঐ দোকান সমস্ত রাত্রি রক্ষিত হয়। আজ ঐ দরজাটী পর্য্যন্ত ভিতর হইতে বদ্ধ দেখিয়া ও উহার মধ্যে আলো জ্বলিতেছে দেখিয়া, আমার সম্পূর্ণরূপ বিশ্বাস হইল যে, ঐ দোকানের ভিতর চোর প্রবেশ করিয়াছে, ও আলো জ্বলিয়া নিশ্চয়ই মূল্যবান জহরতাদি অপহরণ করিতেছে। দরজার ফাঁক দিয়া ঐ দোকানের অভ্যন্তরীণ অবস্থা দর্শন করিবার বিশেষরূপে চেষ্টা করিলাম, কিন্তু কিছুই দেখিতে পাইলাম না। নিকটে কোন প্রহরীকেও দেখিতে পাইলাম না, অথচ সেইস্থান পরিত্যাগ করিয়া স্থানান্তরে গমন করিয়া কোনরূপ বন্দোবস্ত করিতেও সাহসী হইলাম না।