也 সাময়িকপত্র-সম্পাদনে বঙ্গনারী লেখা লিখিতেন। তিনি এক্ষণে সম্পাদকের কায্যভার গ্রহণ করিয়াছেন। গত দাই বারের নমনা যাহা দেখা গেল তাহা আশাজনক। সন্ত্রীলোকের পত্রিকা সন্ত্রীলোক মবারা প্রচারিত হয়। ইহা অপেক্ষা আহাদের বিষয় আর কি আছে ? বামাকুলহিতৈষী মহাশয়েরা এরােপ সরচিসম্পন্ন জাতীয় সবভাবের পক্ষপাতী আয্য গণ বিশিস্ট পত্রিকার প্রতি উৎসাহ প্ৰদান করেন। ইহা একান্ত প্রার্থনীয়।” মোহিনী দেবীর মাতুর (৬ মে ১৮৯৪) পর ময়রভঞ্জের মহারাণী সচার দেবী (৩) কিছ দিন “পরিচারিকা’ পরিচালনা করিয়াছিলেন। ১৩২৩ সালের অগ্রহায়ণ মাসে কুচবিহারের রাণী নিরাপমা দেবী সচিত্র আকারে “পরিচারিকার নব পাষায় প্রকাশ করেন; ইহার প্রথম সংখ্যায় ‘পাবকথার উল্লেখ আছে, উহা এইরপ : “নববিধান ব্রাহামসমাজ হইতে পরিচারিকার প্রথম প্রকাশ। শ্রদ্ধেয় সবগীয় প্রতাপচন্দ্র মজমিদার মহাশয় ইহার প্রবতক এবং তিনিই ইহার প্রথম সম্পাদক छ्एब्लन । . “কিছ কাল পরে ইহা আৰ্য্যনারীসমাজের মােখ্য পত্রিকারপে বাহির হয়। তখন ইহার সম্পাদনের ভর রহমানন্দ কেশবচন্দ্র সেনের জ্যোঠা পত্ৰবধ শ্ৰীমতী মোহিনী দেবীর উপর পড়ে। তিনি বিদাষী ও সলেখিকা ছিলেন; কম্পের্মর বোঝা নামাইয়া সংসারের নিকট যখন তিনি ছটি লাইলেন, তাঁহার অতি সাধের পরিচারিকাও তখন কর্ণধারহীন তরণীর ন্যায় কিছ কাল ভাসিয়া বেড়াইয়া কাল সাগরে ডুবিয়া গেল। “প্রথম বারের পালা শেষ হইবার পরে আয্য নারীসমাজের চেন্টায় পরিচারিকার পািনঃ প্রাণপ্ৰতিস্ঠা হয়। শেষে ইহার পরিচালনার ভার আয্য নারীসমাজের তরফ হইতে ময়রভঞ্জের মহারাণী শ্ৰীশ্ৰীমতী সচার, দেবীর উপর অপিত হয়। তিনি দক্ষতার সহিত পত্রিকা সম্পাদনের কায্য নিববাহ করেন। তাহার পর নানা কারণে যখন তিনি অবসর গ্রহণ করেন, তখন পত্রিকার ভার তদীয়া চতুৰ্থ সহোদরা শ্ৰীমতী মণিকা দেবী গ্রহণ করেন। অন্টবিংশতি বর্ষ জীবন ধারণ করিয়া অবশেষে নানা কারণে কাগজখানি বন্ধ হইয়া যায়।” ৩ বেংগল লাইব্রেরির তালিকায় সচার সেন-সম্পাদিত “পরিচারিকার *২য় ভাগ, ১ম সংখ্যা’র প্রকাশকাল-৩০ এপ্রিল ১৮৯৬ (বৈশাখ ১৩o৩) পাও যাইতেছে।
পাতা:সাময়িকপত্র-সম্পাদনে বঙ্গনারী.pdf/১০
অবয়ব