সাময়িকপত্র-সম্পাদনে বঙ্গনারী SO সংখ্যা পর্যন্ত প্ৰকাশিত হইয়াছিল। পরে আশীতোষ চৌধরিী ইহার সম্পাদনভার গ্রহণ করেন। পত্রিকা প্রচারের উদ্দেশ্য সম্পবন্ধে প্রথম সংখ্যায়। এইরূপ লিখিত হইয়াছিল : “আমাদের দেশ হইতে বিশদ্ধ আয্য সঙ্গীতের চচ্চা ক্রমশঃ লোপ পাইতে বসিয়াছে। যদিও সঙ্গীতের উন্নতিকল্পে দাই একটি সভা সমিতি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে কিন্তু সেগলির দ্বারা সঙ্গীতের শিক্ষার জন্য বিশেষভাবে কোনও উদ্যোগ হয় নাই। আমরা দেশ হইতে সেই অভাব মোচন করিবার জন্য ‘সংগীত সঙ্ঘ” নামে একটি শিক্ষাগার স্থাপন করিয়াছি। যাহাতে সঙ্গীতে ও যন্ত্রাদি বাদনে বালক বালিকাগণকে যথারীতি বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে শিক্ষা দেওয়া হয়, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের গণী সঙ্গীতজ্ঞদিগের একত্র সমাবেশ করিয়া আয্য সওগীতের শিক্ষাপ্রণালী যাহাতে যথাশাস্ত্র সম্পন্ন হয় তাহার জন্য এই বিদ্যালয় সথাপিত হইয়াছে। আমাদের সঙ্গীতের অনেক তত্ত্ব ও অনেক যন্ত্ৰাদি লোপ পাইয়াছে, তাহার পািনরন্ধারের জন্য চেন্টা করা হইতেছে। এমন সময়-কাল পড়িতেছে যে মনে হয় বঝি বা অদ্ধ শতাব্দী মধ্যে আযািসওগীত ও আয্যযন্ত্রাদি লোপ পাইবে ও তাহার আসন বিদেশী সংগীত ও বাদ্যযন্ত্ৰাদি অধিকার করিয়া বসিবে।. “সহজে গান শিক্ষা হইবার অভিপ্ৰায়ে একটি সওগীত-পত্রিকা বাহির করিবার ইচ্ছা করিয়াছি, ইহার নাম “আনন্দ-সঙ্গীত পত্রিকা’ রাখা হইল। এই পত্রিকা বাহির করিবার মােখ্য উদ্দেশ্য এই স্বরলিপি শিক্ষা করিয়া গানগলিকে সহজে নিজের আয়ত্তে আনা। এখন অনেকে নানা প্ৰণালীতে নিজের সংবিধামত চাবরলিপি বাহির করিয়া গানগালি লিপিবদ্ধ করিতেছেন। আমাদের দেশের গানগালি কত রকমে লোপ হইয়া যাইবার উপক্রম হইতেছিল, তাহার রক্ষার নিমিত্ত এবং যাহাতে এগলি সস্থায়ী হয় তদিবষয়ে সকলে চেন্টা করিতেছেন ইহা খব। সখের বিষয়। খালি তো গানের শব্দ প্রয়োগে গান গাইতে পারা যায় না। সার তাল লয়ে শব্দগলি যন্ত হইয়া কন্ঠস্বরে বাহির হওয়া চাই। একটি কথা আমি বলিতে চাই। নানা প্ৰণালীতে সঙ্গীত লিপিবদ্ধ করিবার উপায় বাহির না করিয়া সহজ স্যাণ্ডেকতিক চিহ্নের ফবারা সহজে লোকের যাহাতে বোধগম্য হয়। এমন উপায় এবং যেটি বহল বৎসর হইতে প্রচলিত হইয়া আসিতেছে সেই পদ্ধতি আমাদের মতে অবলম্বন করা উচিত । ‘সওগীত-প্রকাশিকা” নামে একটি সওগীত পত্রিকা অনেক বৎসর হইতে প্রকাশিত হইতেছিল, তাহাতে নানা দেশের গান আমার পজ্যেপাদ শ্ৰীযক্ত জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের উদ্ভাবিত আকারমাত্রিক স্বরলিপি পদ্ধতি অনসারে এত দিন লিপিবদ্ধ হইয়া চলিয়াছিল। শ্ৰীযন্ত জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় কৰ্ম্মজীবন হইতে অবসুর গ্রহণ করিয়া রাঁচি বাস করায় এবং আরও অন্যান্য কারণে ইহা বন্ধ রাখিতে হইয়াছে। বড় দঃখের বিষয়
পাতা:সাময়িকপত্র-সম্পাদনে বঙ্গনারী.pdf/২১
অবয়ব