Ibo সাময়িকপত্র-সম্পাদনে বাঙ্গনারী ১৯৪৭ সনের ১লা সেপ্টেম্বর শচীন্দ্রনাথ শোচনীয় ভাবে নিহত হন। তাঁহার মাতৃত্যুর পর তৎপত্নী অংশ রাণী মিত্র পশ্চিম সংখ্যা (আশিবন ১৩৫৪) হইতে ‘সংগঠন” পরিচালনা করিয়া আসিতেছেন। পরবতী অগ্রহায়ণ মাসে প্রকাশিত ৭ম সংখ্যা হইতে ‘সংগঠন” মাসিকপত্রে রূপান্তরিত হইয়াছে। বেগম। নারজাহান বেগম ও সফিয়া কামালের সম্পাদনায় “মহিলাদের সচিত্ৰ সাপতাহিক” ‘বেগম’। প্রকাশিত হয়। ৩রা শ্রাবণ ১৩৫৪ (২০ জলাই ১৯৪৭) । ইহা মসলিম নারীদের দ্বারা লিখিত ও পরিচালিত। “নারীর সব্বাঙ্গীণ উন্নতি ও মঙ্গল তথা দেশের ও দশের উন্নতি ও মঙ্গল সাধন এই সাপতাহিকের বিশেষ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য।” প্রথম বর্ষের ১২শ সংখ্যা (২রা নবেম্বর) হইতে নারজাহান বেগম একক পত্রিকাখনি পরিচালনা করিয়া আসিতেছেন। শতাব্দী। মসিক পত্র, প্রথম সংখ্যার প্রকাশকাল আশির্বন ১৩৫৪; সম্পাদক মর্যারি দে ও সাজােতা ঘটক। প্রথম সংখ্যায় সম্পাদকীয় বিবতিতে প্রকাশ : “বাঙ্গালার এক দিযোগময় সঙ্কটমহত্তে ‘শতাব্দী’ আত্মপ্রকাশ করল। বাঙ্গালার আকাশ বাতাস আজ দঃখভারাক্রান্ত। শারদ-শ্ৰী আজ বাঙ্গালাকে আনন্দ দান করতে পারছে না। আজ বাঙ্গালা বিচ্ছেদ-ব্যথায় বিমষ । আমাদের জাতীয় জীবনে এক মহাপরিবত্তানের মাখে বাঙ্গালাকে সাম্রাজ্যবাদী কৌশলে বিভক্ত হতে হয়েছে। , , আহবান করি! ... আজি মায়ের কাছে আমরা প্ৰতিজ্ঞা নেবো-আমরা ব্যথা সময় ক্ষেপণ করবো না, প্রতিটি মহত্তে আমরা জাতিগঠনমািলক কম্পেম নিষিক্ত করবো, রাজনীতির ঘণাবত্তে নিজেদের মনকে পত্তিকল করে তুলবো না, জাতির কল্যাণে মনকে সব সময় নিয়োজিত করবো। আজ আমাদের একটি মাত্র ব্রত, সে ব্ৰত হচ্ছে দেশকে গড়ে তোলা। . “সামাজিক প্রতিক্ৰিয়াশীল শক্তির ধবংস করে, তারই উপর আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আদর্শ সমাজতন্ত্র রাষ্ট্র গঠনের মহান ব্ৰত নিয়ে আজ সবাইকে বহৎ সংহতির সাধনায় নিয়োজিত হয়ে শক্তি সঞ্চয় করতে হবে--দান্টের দমন ও শিন্টের পালনের দায়িত্ব নিয়ে যে সরকার কায্যে ব্ৰতী হয়েছেন তাকে নৈতিক সাহায্য দিয়ে পালট করতে হবে। বাংলার সংস্কৃতি আজ বিপন্ন-শিতাব্দীর ব্রত হচ্ছে সেই সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখা। শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে “শতাব্দী’ জনগণকে
পাতা:সাময়িকপত্র-সম্পাদনে বঙ্গনারী.pdf/৩৬
অবয়ব