সচেতন করে তুলবে। তাই ‘শতাব্দী’ আজ তরুণ সমাজের কাছে আহ্বান জানাচ্ছে: তাদের সকল শক্তি দিয়ে—‘শতাব্দী’র ব্রতকে সার্থক করে তুলন।”
‘শতাব্দী’র আর একটি মাত্র সংখ্যা ১৩৫৫ সালের বৈশাখ মাসে প্রকাশিত হইয়াছিল; উহা “শতাব্দীর বিশেষ শিশু ও মহিলা সংখ্যা”।
ললিতা। সাপ্তাহিক পত্রিকা। সম্পাদিকা অরুণা বসু। ১৯৪৭ সনের শেষার্ধে ইহার একটি মাত্র সংখ্যা বউবাজার, মডার্ন আর্ট প্রেস হইতে মুদ্রিত হইয়া প্রচারিত হইয়াছিল।
তরুণের স্বপ্ন। ১৯৪৮ সনের ২৩শে জানুয়ারি (নেতাজীর জন্মতিথি) এই সচিত্র সাপ্তাহিকের প্রথম আবির্ভাব। ইহার সম্পাদিকা মালবিকা দত্ত। পত্রিকা প্রচারের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে প্রথম সংখ্যায় প্রকাশ:
“সাপ্তাহিকটির নাম দিয়েছি আমরা ‘তরুণের স্বপ্ন’। এ থেকে প্রথম দৃষ্টিপাতেই বোঝা যায় যে পত্রিকাটি হতে চলেছে তরুণ সমাজের মুখপত্র— সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও সমাজনীতি; সব কিছ, মিলিয়ে তরুণ মনের বিভিন্ন চিন্তাধারার যে সমন্বিত রূপ, হাজার হাজার তরুণজীবন স্বদেশের উন্নতিকল্পে যে স্বপ্নজাল সৃষ্টি করেন মনে মনে তারই বহিঃপ্রকাশ দেখা যাবে ‘তরুণের স্বপ্নে’র পাতায়। এই উদ্দেশ্য নিয়েই আজ জন্মলাভ করেছে এ সাপ্তাহিকটি।”
বর্তমানে ‘তরণের স্বপ্ন’ মাসিক পত্রে পরিণত হইয়াছে।
উচ্ছল ভারত। মাসিক পত্রিকা। সম্পাদক স্বামী পুরুষোত্তমানন্দ অবধূত (বরিশালের শরৎকুমার ঘোষ), সহ-সম্পাদক রেণু মিত্র, এম. এ.; প্রথম সংখ্যার প্রকাশকাল মাঘ ১৩৫৪।
“উজ্জ্বল ভারত কতকগুলি পরস্পরবিচ্ছিন্ন রচনার অসম্বদ্ধ সমষ্টি হবে না। রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্ম, শিল্প, সাহিত্য, কলা প্রভৃতি জীবনের সকল দিকই ব্যক্তি ও সমষ্টির দৃষ্টিতে আলোচিত হবে, এবং সে সবের মধ্যে একটি organic জীবনের সমগ্রতার খোঁজ পাওয়া যাবে।”
প্রথম সংখ্যার সূচনায় ‘আমাদের কথা’ মুদ্রিত হইয়াছে; ইহাতে প্রকাশ:
“ভারতবর্ষ আজ ব্রিটিশকবলমুক্ত। এই মুক্ত ভারতকে মথিত করিয়া একটি উজ্জ্বল ভারত এবং তাহার অনুপ্রেরণায় একটি ‘এক জগৎ’ (One World) গড়িয়া তুলিবার উদ্দেশ্যে সনাতন আর্য্য শাস্ত্রের প্রগতিশীল ও তেজস্বী ব্যাখ্যান-