পাতা:সাময়িকপত্র-সম্পাদনে বঙ্গনারী.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাময়িকপত্র-সম্পাদনে বঙ্গনারী OS থেকেই। এই মেয়েদের সঙ্গত অধিকারের দাবী নিয়েই আত্মরক্ষা সমিতির আন্দোলন। যে সমাজ এবং শাসনব্যবস্থা নারীর শক্তিকে করে অপচয়, বঞ্চিত করে তাকে মানষের অধিকার থেকে- সে ব্যবস্থাকে ‘সশাসন” বা সবিচার বলে মেনে নেয় নি আত্মরক্ষা সমিতি, নেবেও না কোনদিন। এই বণ্ডিত মানষের কথাকেই “ঘরে বাইরে” পৌছে দেবে ঘরে ঘরে। এদেরই বঞ্চিত জীবনের লাঞ্ছিত। চেহারাকে কথায়-কাহিনীতে ফটিয়ে তুলবে ‘ঘরে বাইরে’। • “এক ফালি জমির অভাবে যে কৃষক-বধর শান্ত-সাশ্রী সংসারখানি উৎসন্নে গেল, হাড়ভাঙ্গা খাটনির বিনিময়েও যে মজর মেয়েটি শিশর মখে এক ফোঁটা দধি দিতে পারলো না, বেকার স্বামীর সংসারে যে মেয়েটি স্বামী-সন্তানের উপোস সইতে না পেরে গলায় দাঁড়ি দিল-তাদের খবর সংবাদপত্রে সস্থান পায় না। অথচ এই তো আমাদের সোনার বাংলার ঘরের কথা। ঘরে বাইরে’র পাতায় পাতায় আসন নেবেন। এরাই; আর আসন নেবেন তাঁরা-যাঁরা মািখ বজে মরণকে মেনে না নিয়ে প্রতিবাদ আর প্রতিরোধের পথে পা দিয়েছেন, অপমত্যুর হাত থেকে মানষি ও মনীষ্যত্বকে বাঁচাবার আকাঙ্ক্ষায় শত্রর মখোমখি দাঁড়াতে ভয় পান নি। যাঁরা। “এই তো গেল। ঘরের কথা। “ঘরে বাইরে’র দরজা খোলা থাকবে দেশবিদেশের বোনদের জন্যও সাগ্রহ, সমাদরে। সমস্যায় ও সংগ্রামে যাদের মিল আছে, সমাধানের পথে যারা অগ্রণী, ভৌগোলিক সীমারেখা টেনে নাম তাদের বিদেশী হলেও, দরের মানষ নয়। তারা। এমনি আপন জনের দিকে বন্ধত্বের হাত বাড়াতে সঙ্কোচ করবে না। “ঘরে বাইরে’। , , “মেয়েদের মািখপাত্রে শােধ কি নীরস, কঠোর, একঘেয়ে বঞ্চিত জীবনের ঘ্যানঘ্যাননি দিয়ে থাকবে ঠাসা ? আর ঠাঁই হবে না। সরস মােধর গলপ-কবিতাসসাহিত্যের ? সমসাহিত্যের সংজ্ঞা নিয়ে আলোচনা না তুলেও মািখপাত্রের তরফ থেকে এর সহজ জবাব হোেল-“নিশ্চয়ই হবে”। শব্ধ সমরণ রাখতে অনরোধনিরদেশ যাত্রা ঘরে বাইরের নয়। যাগান্তের বণ্টনা, মানষ্যিত্বের চরম অবমাননা, নারীত্বের সীমাহীন লাঞ্ছনা থেকে যে মেয়েরা মাথা তুলে উঠে দাঁড়াতে চাইছে-সন্সাহিত্য তাদের মনে আনবে। আশা, বকে দেবে ভরসা-শিল্পীর কাছে সাধারণ মানষের দাবী তো এই-ই। .. “লেখিকারা লিখবেন আর পাঠিকারাই পড়বেন-এমন পদােনশীন জেনানা মহল মোটেই নয়। কিন্তু ‘ময়রে বাইরে’। এ ব্যাপারে সমান অধিকার ঘোষণা থাকলো উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে।” . . চার-পাঁচ সংখ্যার পর সম্পাদিকা ‘ঘরে-বাইরে’। প্রচার ब्राश्ठ করিতে বাধ্য হন।