কবি অক্ষয়চন্দ্রের সহধর্মিণী শরৎকুমারী চৌধুরাণী যথার্থই লিখিয়াছেন :
“ফুলের তোড়ার ফুলগুলিই সবাই দেখিতে পায়, যে বাঁধনে বাঁধা থাকে, তাহার অস্তিত্বও কেহ জানিতে পারে না। মহর্ষি-পরিবারে গৃহলক্ষী শ্ৰীযুক্ত জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের পত্নী ছিলেন এই বাঁধন। বাঁধন ছিঁড়িল,-ভারতীর সেবকেরা আর ফুল তোলেন না, ভারতী ধূলায় মলিন। এই দুর্দ্দিনে শ্ৰীমতী স্বর্ণকুমারী দেবী নারীর পালন-শক্তির পরিচয় দিলেন।”
অতঃপর ‘ভারতী’র লালন-পালনের ভার প্রধানত স্বর্ণকুমারী দেবী ও তাঁহার দুই কন্যার হস্তে ন্যস্ত ছিল। ইঁহাদের কার্যকাল এইরূপ —
৮ম-৯ম বর্ষ : |
১২৯১-১২৯২ সাল |
‘ভারতী’ |
স্বর্ণকুমারী দেবী |
‘ভারতী’র খ্যাতি ও গৌরবের কৃতিত্ব প্রধানত রবীন্দ্রনাথ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ দুষ্পাঠ্য সত্যেন্দ্রনাথের হইলেও সম্পাদিকাদের হস্তে ইহার গৌরব কিছুমাত্র ক্ষুগ্গ হয় নাই৷ সম্পাদিকাগণের বহু সুলিখিত রচনা ইহার পৃষ্ঠা অলংকৃত করিয়াছিল।
পরিচারিকা। ১২৮৫ সালের ১লা জ্যৈষ্ঠ (৮ মে ১৮৭৮) এই নামের একখানি স্ত্রী পাঠ্য মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ইহা সম্পাদনা করিতেন কেশবচন্দ্রের জীবনীকার প্রতাপচন্দ্র মজুমদার। কয়েক বৎসর পরে ‘পরিচারিকা’র পালনের ভার পড়ে আর্য্যনারীসমাজের উপর; এই সমাজের পক্ষ হইতে কেশবচন্দ্রের জ্যেষ্ঠা পুত্ৰবধু মোহিনী দেবী পত্রিকাখনির সম্পাদনভার গ্রহণ করেন। তিনি বিদুষী ও সুলেখিকা ছিলেন। এই প্রসঙ্গে ‘সুলভ সমাচার ও কুশদহ’ ২৯ জুলাই ১৮৮৭ (১৪ শ্রাবণ ১২৯৪) তারিখে যে মন্তব্য করেন তাহা উদ্ধারযোগ্য :
“আমরা শুনিয়া সুখী হইলাম,‘পরিচারিকা’ কাগজখানি পুনরায় বামাগণের পরিচর্য্যায় বিশেষরূপে উৎসাহিত হইয়াছেন। প্রথমাবস্থায় যিনি ইহার অধিকাংশ